রাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

  • Update Time : ০৩:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 156

রাবি প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চালুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পূর্বনির্ধারণ করার যে পদ্ধতি তা বাতিলের ও দাবি জানান।

বুধবারে (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। পরবর্তীতে তারা ঢাকা রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন।

জাহাঙ্গীরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, আমারা মূলত দ্বিতীয়বার ভর্তির দাবিতে এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। ২০২০ সালে আমারা অটোপাশ করেছি। করোনার সময় আমাদের অনেক আত্নীয় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যার কারণে আমাদের পড়ালিখা বিঘ্নিত হয়েছে। আর একটি কারণ হচ্ছে এই সময় প্রাইভেট কোচিং সব বন্ধ ছিল।যার কারণে পড়ার সুযোগ পাই নি, আমাদের পিছিয়ে যেতে হয়েছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার যে সিডিউল দেয়া হয়েছিল তা বার বার পরিবর্তন হয়েছে। যার ফলে আমারা পড়ায় মন বসাতে পারি নি। এ কারণে আমারা দাবি করছি এই করোনা পরিস্থিতিতে সবাই বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তাই অন্তত আবাদের বেলা সিলেকশন বাতিল করে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দেয়া হোক।

সংগ্রাম খান নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলে, তাহলে আমাদের সুযোগ দেওয়া হবে না কেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বুঝতে পারে না আমাদের ভিতরের কান্না। আমরা যখন প্রথমবার চান্স পাই না সমাজে কি অপমান নিয়ে আমাদের বাঁচতে হয়। প্রতিটি পদে পদে লাঞ্ছনা অপদস্থ হতে হয়। আমরা এর সুষ্ঠু পদক্ষেপ চাই। আমরা সেকেন্ড টাইম পরিক্ষা আবার দিতে চাই।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে, ‘রাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চাই সুযোগ চাই’ ‘সুযোগ চাই মানুষ হবো, সুন্দর জীবন গড়তে শিক্ষার দরজা হোক উন্মুক্ত, দেশের বোঝা না বাড়িয়ে দ্বিতীয়বার পরিক্ষার সুযোগ দিন” “সিলেকশন সিস্টেম বাতিল চাই, ‘সুন্দর একটা জীবন চাই’ ‘দেশের বোঝা না করে, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা চাই’ ইত্যাদি লিখা প্লেকার্ড দেখা যায়।

মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সাথে বসে আলোচনা করার আশ্বাস প্রদান করেন। তবে শিক্ষার্থীরা সকলে উপাচার্যের সাথে বসার কথা বলেন অন্যথায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

Update Time : ০৩:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

রাবি প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চালুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পূর্বনির্ধারণ করার যে পদ্ধতি তা বাতিলের ও দাবি জানান।

বুধবারে (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। পরবর্তীতে তারা ঢাকা রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন।

জাহাঙ্গীরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, আমারা মূলত দ্বিতীয়বার ভর্তির দাবিতে এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। ২০২০ সালে আমারা অটোপাশ করেছি। করোনার সময় আমাদের অনেক আত্নীয় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যার কারণে আমাদের পড়ালিখা বিঘ্নিত হয়েছে। আর একটি কারণ হচ্ছে এই সময় প্রাইভেট কোচিং সব বন্ধ ছিল।যার কারণে পড়ার সুযোগ পাই নি, আমাদের পিছিয়ে যেতে হয়েছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার যে সিডিউল দেয়া হয়েছিল তা বার বার পরিবর্তন হয়েছে। যার ফলে আমারা পড়ায় মন বসাতে পারি নি। এ কারণে আমারা দাবি করছি এই করোনা পরিস্থিতিতে সবাই বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তাই অন্তত আবাদের বেলা সিলেকশন বাতিল করে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দেয়া হোক।

সংগ্রাম খান নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলে, তাহলে আমাদের সুযোগ দেওয়া হবে না কেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বুঝতে পারে না আমাদের ভিতরের কান্না। আমরা যখন প্রথমবার চান্স পাই না সমাজে কি অপমান নিয়ে আমাদের বাঁচতে হয়। প্রতিটি পদে পদে লাঞ্ছনা অপদস্থ হতে হয়। আমরা এর সুষ্ঠু পদক্ষেপ চাই। আমরা সেকেন্ড টাইম পরিক্ষা আবার দিতে চাই।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে, ‘রাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চাই সুযোগ চাই’ ‘সুযোগ চাই মানুষ হবো, সুন্দর জীবন গড়তে শিক্ষার দরজা হোক উন্মুক্ত, দেশের বোঝা না বাড়িয়ে দ্বিতীয়বার পরিক্ষার সুযোগ দিন” “সিলেকশন সিস্টেম বাতিল চাই, ‘সুন্দর একটা জীবন চাই’ ‘দেশের বোঝা না করে, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা চাই’ ইত্যাদি লিখা প্লেকার্ড দেখা যায়।

মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সাথে বসে আলোচনা করার আশ্বাস প্রদান করেন। তবে শিক্ষার্থীরা সকলে উপাচার্যের সাথে বসার কথা বলেন অন্যথায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।