নোবিপ্রবিতে ৪র্থবারের মতো হতে যাচ্ছে হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতা
- Update Time : ০৮:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / 158
এস আহমেদ ফাহিম, নোবিপ্রবি:
উদ্যোক্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘হাল্ট প্রাইজ’ ৪র্থ বারের মতো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(নোবিপ্রবি)আয়োজিত হতে যাচ্ছে।
প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি যা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন সায়েন্সেস এর আয়োজনে এইবারের প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে “গেটিং দ্য ওয়ার্ল্ড ব্যাক টু ওয়ার্ক”। প্রতিযোগীদের এমন উদ্ভাবনী আইডিয়া তৈরি করতে হবে যার মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে ২ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাবে।
এ বিষয়ে হাল্টের নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস ডিরেক্টর খাদিজা খানম উর্মি বলেন,এবছর অর্থাৎ হাল্ট প্রাইজ-২০২২ এর চ্যালেঞ্জ এ স্পেসেফিক কোন বিষয় নেই সেজন্য যেকোন ব্যাকগ্রাউন্ড এর শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই নিজেদের ইনোভেটিভ আইডিয়া দিয়ে প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পারবে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে টিম রেজিস্ট্রেশন। আমরা অনেকেই নিজেদের উদ্ভাবনী আইডিয়া কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। হাল্ট প্রাইজ এমনই একটা আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম যেখানে আপনি সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বসেরা হয়ে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জিতে নেয়ার। আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তরিত করার অন্যতম প্লাটফর্ম হতে পারে হাল্ট প্রাইজ।
প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে উর্মি বলেন, ৩-৪ জন সদস্য মিলে টিম গঠন করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে প্রতিটি টিমকে নিজেদের বিজনেস আইডিয়াটি ১০০ শব্দের মধ্যে বর্ণনা করতে হবে এবং বিজনেস আইডিয়ার উপর ২ মিনিটের একটি ভিডিও সাবমিট করার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। পরবর্তীতে বিচারকরা রেজিস্ট্রেশন করা টিম গুলো থেকে প্রাথমিক বাছাই শেষে প্রথম রাউন্ডে কোন টিমগুলো অংশ নিবে সেটি নির্বাচন করবেন। পরবর্তীতে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে টিম রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ ফ্রি।
উল্লেখ্য, হাল্ট প্রাইজ হলো শিক্ষার্থীদের নোবেল খ্যাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা যা প্রতিবছর বিশ্বের ১০০ এর অধিক দেশে আয়োজিত হয়ে থাকে।প্রতিযোগিতাটি জাতিসংঘ, ক্লিনটন ইনিশিয়েটিভস (আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এর সংস্থা) এবং হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল যৌথভাবে আয়োজন করে থাকে। এর মাধ্যমে জাতিসংঘ চিহ্নিত সমস্যার সমাধান এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ীদের ১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা) পুরস্কার প্রদান করা হয়।