রাবিতে সান্ধ্য আইন বাতিলসহ কয়েক দফা দাবিতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ
- Update Time : ০৩:১২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
- / 188
রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) তাপসী রাবেয়া হলের পর এবার রোকেয়া হলের ছাত্রীরা সান্ধ্য আইন বাতিলসহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
আজ শনিবার (২০ নভেম্বর ) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হলের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা এ আন্দোলন শুরু করে। দুপুর ২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রয়েছে।
তাদের দাবি গুলো হচ্ছে- সান্ধ্য আইন বাতিল, ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধি করা, ক্যান্টিনের খাবারের মূল্য কমানো, হলে গেস্ট আসার অনুমতি প্রদান, ওয়াইফাই সমস্যার স্থায়ী সমাধান, হলের চারপাশ এবং ওয়াশরুম পরিষ্কার করা।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ‘সান্ধ্য আইন মানি না, মানবো না’ ‘ডাইনিংয়ের পচা খাবার খাবো না, খাবো না’ ‘ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ করো’ ‘খালাদের মাতব্বরি মানব না মানব না’, ‘সমস্যা হলেই গণরুম ছাড়ার হুমকি কেন’? ‘মা বোনদের হলে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে দিতে হবে’, ‘ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ করো করতে হবে’ বলে স্লোগান দেন।
ছাত্রীদের অভিযোগ, বাহিরের তুলনায় হলের ডাইনিং খাবারের দাম অনেক বেশি। এখানে দাম বেশি নিয়েও মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হয় না। এছাড়াও হলের ওয়াইফাই একদম কাজ করে না। হলের বাথরুম, মাঠ সবসময় অপরিষ্কার থাকে। হলের খালারা সবসময় ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্রীর সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এলাকায় সান্ধ্য আইনের মত বৈষম্যমূলক আইন আমারা মানব না। আমাদের ক্যান্টিনের খাবারের দাম অত্যাধিক বেশি। ম্যামকে এ বিষয়ে একাধিক বার অভিযোগ দিয়েও এর কোন সমাধান আমরা পাই নি।
তারা আরো বলেন, আমাদের হলে প্রায় অর্ধ মাস হয়ে গেলো ওয়াইফাই নাই। ম্যামকে অভিযোগ কয়েকবার দেয়া হয়েছে। আমারা কোন সমাধান তো পাই ই নি ;উলটো তিনি আমাদের বলেছেন রুমে ওয়াইফাই দিয়ে করবা । এছাড়া হলের ক্যান্টিনে খাবারের ব্যবসা চলছে। এক প্লেট খিচুড়ি ত্রিশ টাকা, একটা পরোটা আট টাকা। ক্যান্টিনে খালাদের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। তারা ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। শুধু তাই নয় ছাত্রীদের তারা অসম্মান করে কথা বলে। এসব বিষয় নিয়ে আমারা অনেক বার ম্যামের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু কোন সমাধান পাই নি। তাই আজ আমারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
এসময় তাদের হাতে – ‘ইন্টারনেট বিল দেই সেবা কই’, ’সন্ধাকালীন আইন মানি না’; ‘খালাদের মাতব্বরি মানব না মানব না’, ‘সমস্যা হলেই গণরুম ছাড়ার হুমকি কেন’? ‘মা বোনদের হলে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে দিতে হবে’, ‘ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ করো করতে হবে’; ‘ ইত্যাদি লিখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েকজন ছাত্রী প্রতিনিধির সাথে বিশ্ববিদ্যায় প্রশাসনের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর , হলের প্রাধাক্ষ্য মিটিয়ে বসেছে। এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত মিটিং চলমান।