রাবিতে হলের সিট বাণিজ্য বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ

  • Update Time : ০৩:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১
  • / 178

রাবি প্রতিনিধি:

অবিলম্বে রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, সিট বাণিজ্য বন্ধ, সিনেট সিন্ডিকেট বৈধকরণ সহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। রবিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের সামনে এসে শেষ হয়।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- আবাসন সংকট নিরসন, স্বল্পমূল্যে মানসম্মত খাবার পরিবেশন ও নিরাপদ ক্যাম্পাস।

এ সময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ করোনার বন্ধের পর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ আবাসিক হলে উঠেছে। এই সময় অনেক শিক্ষার্থী তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে হল ছেড়ে চলে গেছে। ফলে অনেক সিট ফাঁকা হয়েছে। কিন্তু ফাঁকা সিট গুলো আর ফাঁকা নেই। সেখানে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ‘ছাত্রলীগ’ সিটগুলো দখলে নিয়েছে এবং একেকটি সিট চার-পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করে সিট বাণিজ্য চালাচ্ছে। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে দায়িত্ব কি। আপনারা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন অথবা আপনাদের মেরুদন্ড যদি না থাকে তাহলে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিন।

তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিসি ক্যামেরা দিয়ে সবার উপরে নজর রাখছে কিন্তু তারা ছাত্র-ছাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। রাকসু নির্বাচন এবং হল গুলোতে ছাত্রসংগঠনের যে দখলদারিত্ব রয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একত্রে প্রতিবাদ করে দাবি আদায় করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রায় পনেরো-বিশ জন নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাবিতে হলের সিট বাণিজ্য বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ

Update Time : ০৩:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১

রাবি প্রতিনিধি:

অবিলম্বে রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, সিট বাণিজ্য বন্ধ, সিনেট সিন্ডিকেট বৈধকরণ সহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। রবিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের সামনে এসে শেষ হয়।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- আবাসন সংকট নিরসন, স্বল্পমূল্যে মানসম্মত খাবার পরিবেশন ও নিরাপদ ক্যাম্পাস।

এ সময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ করোনার বন্ধের পর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ আবাসিক হলে উঠেছে। এই সময় অনেক শিক্ষার্থী তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে হল ছেড়ে চলে গেছে। ফলে অনেক সিট ফাঁকা হয়েছে। কিন্তু ফাঁকা সিট গুলো আর ফাঁকা নেই। সেখানে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ‘ছাত্রলীগ’ সিটগুলো দখলে নিয়েছে এবং একেকটি সিট চার-পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করে সিট বাণিজ্য চালাচ্ছে। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে দায়িত্ব কি। আপনারা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন অথবা আপনাদের মেরুদন্ড যদি না থাকে তাহলে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিন।

তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিসি ক্যামেরা দিয়ে সবার উপরে নজর রাখছে কিন্তু তারা ছাত্র-ছাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। রাকসু নির্বাচন এবং হল গুলোতে ছাত্রসংগঠনের যে দখলদারিত্ব রয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একত্রে প্রতিবাদ করে দাবি আদায় করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রায় পনেরো-বিশ জন নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।