হলমার্কের বিরুদ্ধে রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৭ Time View

হলমার্কের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির ১১ মামলার মধ্যে দীর্ঘ এক যুগ পর এক মামলার রায়ের দিন আজ ধার্য রয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ ঠিক করেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হল–মার্কের তানভীর, তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা এক মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

তিনি আরও জানান, এ মামলার মোট আসামির সংখ্যা ১৮ জন। এদের মধ্যে তানভীর মাহমুদসহ আটজন কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, এদের মধ্যে হলমার্ক প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপ- মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক কারাগারে রয়েছেন।

এছাড়া জামিনে রয়েছেন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

আর মামলার পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মামলায় অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসামিরা। মামলায় আদালত চার্জশিটের মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন । ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হল–মার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায় (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ১১টি মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তাঁর ভায়রা তুষার আহমেদসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। পরে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এই ১১টি মামলা বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এ বদলি করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

হলমার্কের বিরুদ্ধে রায় আজ

Update Time : ১০:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হলমার্কের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির ১১ মামলার মধ্যে দীর্ঘ এক যুগ পর এক মামলার রায়ের দিন আজ ধার্য রয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ ঠিক করেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হল–মার্কের তানভীর, তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা এক মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

তিনি আরও জানান, এ মামলার মোট আসামির সংখ্যা ১৮ জন। এদের মধ্যে তানভীর মাহমুদসহ আটজন কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, এদের মধ্যে হলমার্ক প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপ- মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক কারাগারে রয়েছেন।

এছাড়া জামিনে রয়েছেন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

আর মামলার পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মামলায় অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসামিরা। মামলায় আদালত চার্জশিটের মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন । ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হল–মার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায় (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ১১টি মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তাঁর ভায়রা তুষার আহমেদসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। পরে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এই ১১টি মামলা বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এ বদলি করা হয়।