শিক্ষা অধিদফতরে দর্শনার্থী প্রবেশে পাস লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:০৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৫৭ Time View

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) দর্শনার্থীসহ সবার প্রবেশ করতে পাস লাগবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অধিদফতরের এ সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

সম্প্রতি মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) রূপক রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, শীত মৌসুমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা প্রতিরোধে মাউশিতে প্রবেশাধিকার সংরক্ষণের জন্য প্রবেশের আগে অধিকতর সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রবেশের আগে মাউশি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাস সংগ্রহের জন্য দর্শনার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পাস অনুমোদন করার জন্য entrepassdshe@gmail.com এই ঠিকানায় আগে থেকে আবেদন করতে হবে। পাসের মধ্যে সাক্ষাৎকারীর নাম, কর্মস্থল, সাক্ষাতের তারিখ, সাক্ষাতের উদ্দেশ্য, সাক্ষাৎকারী কর্মকর্তার নাম এবং সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ সার্ভিস অনলাইনভিত্তিক করার পরও অনেকে অযথা এসে সময় নষ্ট করে। তাদের প্রবেশ সংরক্ষিত করতে ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পাসের প্রথা চালু করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো দর্শনার্থী বা আগত কেউ মাউশিতে প্রবেশ করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়ে একটি পাসের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশ করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে পাসের কপি দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে ডাউনলোড করা যাবে। ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর করা হবে।’

এদিকে মাউশিতে প্রবেশে পাসের প্রথা চালু করায় অসন্তোস প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি এ বিষয়ে বলেন, প্রতিদিন মাউশিতে শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসতে হয়। এমপিও, পে-স্কেল, তথ্যগত ভুল সমাধানসহ নানা সমস্যা নিয়ে তারা আসেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। অনেক সময় দীর্ঘদিন বিভিন্ন টেবিলে ঘুরে কাজ করাতে হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মাউশিতে প্রবেশ সংরক্ষিত করায় শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বড় সমস্যা তৈরি হবে। অনলাইনে আবেদন করলে তার আর খবর থাকে না বলে বাধ্য হয়ে মাউশিতে আসতে হচ্ছে। ‘এখন বিভিন্ন মাধ্যমে পাস কিনে প্রবেশ করতে হবে’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শিক্ষা অধিদফতরে দর্শনার্থী প্রবেশে পাস লাগবে

Update Time : ০৩:০৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) দর্শনার্থীসহ সবার প্রবেশ করতে পাস লাগবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অধিদফতরের এ সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

সম্প্রতি মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) রূপক রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, শীত মৌসুমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা প্রতিরোধে মাউশিতে প্রবেশাধিকার সংরক্ষণের জন্য প্রবেশের আগে অধিকতর সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রবেশের আগে মাউশি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাস সংগ্রহের জন্য দর্শনার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পাস অনুমোদন করার জন্য entrepassdshe@gmail.com এই ঠিকানায় আগে থেকে আবেদন করতে হবে। পাসের মধ্যে সাক্ষাৎকারীর নাম, কর্মস্থল, সাক্ষাতের তারিখ, সাক্ষাতের উদ্দেশ্য, সাক্ষাৎকারী কর্মকর্তার নাম এবং সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ সার্ভিস অনলাইনভিত্তিক করার পরও অনেকে অযথা এসে সময় নষ্ট করে। তাদের প্রবেশ সংরক্ষিত করতে ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পাসের প্রথা চালু করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো দর্শনার্থী বা আগত কেউ মাউশিতে প্রবেশ করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়ে একটি পাসের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশ করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে পাসের কপি দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে ডাউনলোড করা যাবে। ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর করা হবে।’

এদিকে মাউশিতে প্রবেশে পাসের প্রথা চালু করায় অসন্তোস প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি এ বিষয়ে বলেন, প্রতিদিন মাউশিতে শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসতে হয়। এমপিও, পে-স্কেল, তথ্যগত ভুল সমাধানসহ নানা সমস্যা নিয়ে তারা আসেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। অনেক সময় দীর্ঘদিন বিভিন্ন টেবিলে ঘুরে কাজ করাতে হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মাউশিতে প্রবেশ সংরক্ষিত করায় শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বড় সমস্যা তৈরি হবে। অনলাইনে আবেদন করলে তার আর খবর থাকে না বলে বাধ্য হয়ে মাউশিতে আসতে হচ্ছে। ‘এখন বিভিন্ন মাধ্যমে পাস কিনে প্রবেশ করতে হবে’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।