পাকা আমের যত গুণাবলি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩
  • / ২২০ Time View

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

আজ থেকে শুরু হয়েছে পাক আম পাড়া। মুখরোচক ফলের মধ্যে অন্যতম ফল আম। কাঁচা কিংবা পাকা, আমপ্রেমীদের কাছে আম মানেই প্রিয় একটি ফল।

পাকা আমের জন্য পুরো বছর জুড়ে অপেক্ষার অবসান ঘটে এ মৌসুমে। সকাল-বিকালের নাশতা কিংবা দুপুরের ভাত, সাথে একটি পাকা আম না হলে যেন খাওয়ার পূর্ণতাই আসে না।

পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ লবণ, আঁশ ইত্যাদি যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। পাকা আমে ক্যারোটিনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। পাকা আমে আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন সি, রিভোফ্লেভিন এবং থায়ামিন থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। পাকা আমে আরো থাকে খনিজ লবণ, প্রোটিন ও ফ্যাট। শ্বেতসারের ভালো উৎস হলো পাকা আম।

এ ছাড়াও পাকা আমে রয়েছে দারুণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা, চলুন জেনে নেই সেগুলো।

১. ক্যান্সার থেকে রক্ষা : পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস উপাদান যা কোলন, স্তন , প্রস্টেট, লিউকেমিয়া প্রভৃতি ধরনের ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

২. কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ : পাকা আমে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-সি, প্যাকটিন ও আঁশ। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

৩. ত্বকের যত্নে : ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম। বিশেষ করে ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এটি। আমে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি ত্বকের কোলাজেন তৈরিকে ত্বরান্বিত করে, যা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যাকে ধীরগতি করে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে, যা চুল পড়ার হার কমিয়ে আনে।

৪. কমায় চোখের সমস্যা : পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ’র উপস্থিতি রয়েছে সুমিষ্ট এই ফলটিতে। যা ড্রাই আই প্রবলেম কমাতেও বেশ কার্যকরী।

৫. বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : আমে থাকা ভিটামিন-সি, এ ও অন্যান্য ২৫ ধরনের ক্যারোটেনয়েডস খুব সহজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে কাজ করে।

৬. শরীর সুস্থ রাখে : একটি পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া আমে থাকা ক্যালসিয়ার শরীরের হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। আমে থাকা এনজাইমগুলো প্রোটিন উপাদানগুলোকে সহজে ভেঙে ফেলতে পারে। এতে খাবার হজম হয় দ্রুত, বাঁচা যায় পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ থেকেও। এ ছাড়া আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

আমের অপকারিতা : আম যেমন শরীরের উপকার করে তেমনি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তা শরীরের ক্ষতিকর প্রভাব ও ফেলে।

পাকা আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলেই যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা একেবারেই দূরে থাকুন আমের থেকে। কেননা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে আম।

চিকিৎসকের কথায়, যারা অ্যাজমাতে ভুগছেন তাঁরা প্রয়োজনে কম খান আম। কিডনির সমস্যা যাদের রয়েছে তাঁদের পক্ষেও বেশি আম খাওয়া উচিত নয়।

পাকা আম অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাবে। বেড়ে যাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ। তাই সব কিছুই সীমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

পাকা আমের যত গুণাবলি

Update Time : ০১:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

আজ থেকে শুরু হয়েছে পাক আম পাড়া। মুখরোচক ফলের মধ্যে অন্যতম ফল আম। কাঁচা কিংবা পাকা, আমপ্রেমীদের কাছে আম মানেই প্রিয় একটি ফল।

পাকা আমের জন্য পুরো বছর জুড়ে অপেক্ষার অবসান ঘটে এ মৌসুমে। সকাল-বিকালের নাশতা কিংবা দুপুরের ভাত, সাথে একটি পাকা আম না হলে যেন খাওয়ার পূর্ণতাই আসে না।

পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ লবণ, আঁশ ইত্যাদি যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। পাকা আমে ক্যারোটিনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। পাকা আমে আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন সি, রিভোফ্লেভিন এবং থায়ামিন থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি-১ ও বি-২। পাকা আমে আরো থাকে খনিজ লবণ, প্রোটিন ও ফ্যাট। শ্বেতসারের ভালো উৎস হলো পাকা আম।

এ ছাড়াও পাকা আমে রয়েছে দারুণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা, চলুন জেনে নেই সেগুলো।

১. ক্যান্সার থেকে রক্ষা : পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস উপাদান যা কোলন, স্তন , প্রস্টেট, লিউকেমিয়া প্রভৃতি ধরনের ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

২. কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ : পাকা আমে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-সি, প্যাকটিন ও আঁশ। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

৩. ত্বকের যত্নে : ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম। বিশেষ করে ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এটি। আমে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি ত্বকের কোলাজেন তৈরিকে ত্বরান্বিত করে, যা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যাকে ধীরগতি করে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের ফলিকলকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে, যা চুল পড়ার হার কমিয়ে আনে।

৪. কমায় চোখের সমস্যা : পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ’র উপস্থিতি রয়েছে সুমিষ্ট এই ফলটিতে। যা ড্রাই আই প্রবলেম কমাতেও বেশ কার্যকরী।

৫. বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : আমে থাকা ভিটামিন-সি, এ ও অন্যান্য ২৫ ধরনের ক্যারোটেনয়েডস খুব সহজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে কাজ করে।

৬. শরীর সুস্থ রাখে : একটি পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া আমে থাকা ক্যালসিয়ার শরীরের হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। আমে থাকা এনজাইমগুলো প্রোটিন উপাদানগুলোকে সহজে ভেঙে ফেলতে পারে। এতে খাবার হজম হয় দ্রুত, বাঁচা যায় পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ থেকেও। এ ছাড়া আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

আমের অপকারিতা : আম যেমন শরীরের উপকার করে তেমনি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তা শরীরের ক্ষতিকর প্রভাব ও ফেলে।

পাকা আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলেই যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা একেবারেই দূরে থাকুন আমের থেকে। কেননা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে আম।

চিকিৎসকের কথায়, যারা অ্যাজমাতে ভুগছেন তাঁরা প্রয়োজনে কম খান আম। কিডনির সমস্যা যাদের রয়েছে তাঁদের পক্ষেও বেশি আম খাওয়া উচিত নয়।

পাকা আম অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাবে। বেড়ে যাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ। তাই সব কিছুই সীমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।