ঢাবিতে ফিরে আসছে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বার্ষিক নাট্যোৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
  • / ১৭১ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ

করোনা মহামারির কারণে থামিয়ে দিতে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বার্ষিক নাট্যোৎসব। ‘এখানে জীবন ফুরায় না, কেননা এখানে ভালোবাসা অফুরান’ স্লোগান নিয়ে ২০১৯ সালে আয়োজন করা হয়েছিল ১৪তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসবের। কিন্তু ২০২০ সালে ১৫তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারনে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল এ আয়োজন ।

এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগের মতো আবারো আনন্দমুখর পরিবেশ এই আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ। ২১ থেকে ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ১৫তম বার্ষিক নাট্যোৎসব।

এবারের নাট্যোৎসবে নয়টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বিভাগের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হবে। উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

জানা গেছে, উদ্বোধনী দিনে স্যামুয়েল বেকেটের নাটক ‘ওয়েটিং ফর গডো’ মঞ্চস্থ হবে। এটি নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক ইসরাফিল শাহীন। ২১ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে এ নাটকের প্রদর্শনী। ২৭ মার্চ শুরু হবে স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় সাতটি নাটকের প্রদর্শনী। এর মধ্যে ২৭ মার্চ ‘খারিজ’ ও ‘কোথায় পাব তারে’ মঞ্চস্থ হবে। ২৮ মার্চ রেপার্টরি থিয়েটারের ‘এ প্লে’, ও ‘দ্য শ্যাডো অব হামিংবার্ড’ মঞ্চস্থ হবে। ২৯ মার্চ রয়েছে দুই চরিত্রের নাটক, ‘শেষ গোধূলির ঘুম’ ও ‘নাথবতী অনাথবৎ’।

৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত মঞ্চস্থ হবে ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা রীতির নিরীক্ষামূলক উপস্থাপনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিসর্জন’।

থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রধান মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘১২ দিনব্যাপী এই বিচিত্র আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিভাগের জ্ঞানমুখী শিল্পচর্চা স্থানীয় ও বিশ্বজনীন জ্ঞান-প্রবাহে অভিষিক্ত হবে। এই নাট্যোৎসব এমন একটি সৃজনশীল কর্মে উদ্দীপ্ত হয়েছে, যেখান থেকে ইতিবাচক ও উৎকর্ষময় মাত্রা পেতে পারে আমাদের শিল্পচেতনা।’

এবারের উৎসবে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারকে সম্মাননা দেবে আয়োজকেরা। উদ্বোধনী দিন তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবিতে ফিরে আসছে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বার্ষিক নাট্যোৎসব

Update Time : ০৮:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ

করোনা মহামারির কারণে থামিয়ে দিতে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বার্ষিক নাট্যোৎসব। ‘এখানে জীবন ফুরায় না, কেননা এখানে ভালোবাসা অফুরান’ স্লোগান নিয়ে ২০১৯ সালে আয়োজন করা হয়েছিল ১৪তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসবের। কিন্তু ২০২০ সালে ১৫তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারনে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল এ আয়োজন ।

এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগের মতো আবারো আনন্দমুখর পরিবেশ এই আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ। ২১ থেকে ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ১৫তম বার্ষিক নাট্যোৎসব।

এবারের নাট্যোৎসবে নয়টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বিভাগের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হবে। উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

জানা গেছে, উদ্বোধনী দিনে স্যামুয়েল বেকেটের নাটক ‘ওয়েটিং ফর গডো’ মঞ্চস্থ হবে। এটি নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক ইসরাফিল শাহীন। ২১ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে এ নাটকের প্রদর্শনী। ২৭ মার্চ শুরু হবে স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় সাতটি নাটকের প্রদর্শনী। এর মধ্যে ২৭ মার্চ ‘খারিজ’ ও ‘কোথায় পাব তারে’ মঞ্চস্থ হবে। ২৮ মার্চ রেপার্টরি থিয়েটারের ‘এ প্লে’, ও ‘দ্য শ্যাডো অব হামিংবার্ড’ মঞ্চস্থ হবে। ২৯ মার্চ রয়েছে দুই চরিত্রের নাটক, ‘শেষ গোধূলির ঘুম’ ও ‘নাথবতী অনাথবৎ’।

৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত মঞ্চস্থ হবে ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা রীতির নিরীক্ষামূলক উপস্থাপনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিসর্জন’।

থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রধান মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘১২ দিনব্যাপী এই বিচিত্র আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিভাগের জ্ঞানমুখী শিল্পচর্চা স্থানীয় ও বিশ্বজনীন জ্ঞান-প্রবাহে অভিষিক্ত হবে। এই নাট্যোৎসব এমন একটি সৃজনশীল কর্মে উদ্দীপ্ত হয়েছে, যেখান থেকে ইতিবাচক ও উৎকর্ষময় মাত্রা পেতে পারে আমাদের শিল্পচেতনা।’

এবারের উৎসবে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারকে সম্মাননা দেবে আয়োজকেরা। উদ্বোধনী দিন তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হবে।