জামালপুরে ডাক্তারদের কর্মবিরতি, চরম দুর্ভোগে রোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:২৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১১৩ Time View
জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রবিব(২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জামালপুরে কর্মবিরতি শুরু করেছে ডাক্তাররা।
.
হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।
.
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর যৌথ ডাকে চিকিৎসকদের এ কর্মবিরতি। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শত শত রোগী ও
স্বজনরা। চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা।
.
হামলার ঘটনায় শনিবার রাত ১০টায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.মাফিজুর রহমান সোহান বাদী হয়ে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের ইকবালপুর গ্রাম থেকে আসামি সাইদুর রহমান (৪০) ও শহিদুল্লাহকে (৪২) গ্রেফতার করে। এদিকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসক না আসায় রোগীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে।
.
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এক অসুস্থ নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বহিরাগতদের হামলা, কক্ষ ভাঙচুর, মেডিক্যাল অফিসারকে মারধর এবং বহিরাগত ও ইর্ন্টানি চিকিৎসকদের মধ্যে সংর্ঘষের সময় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
.
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতকরণ, সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক নিরাপত্তা প্রদান-এই তিন দফা দাবিতে চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের
কর্মবিরতি চলছে। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তিনি।
.
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শনিবার রাত ১০টায় ৫ জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

জামালপুরে ডাক্তারদের কর্মবিরতি, চরম দুর্ভোগে রোগীরা

Update Time : ০৭:২৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রবিব(২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জামালপুরে কর্মবিরতি শুরু করেছে ডাক্তাররা।
.
হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। জেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।
.
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর যৌথ ডাকে চিকিৎসকদের এ কর্মবিরতি। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শত শত রোগী ও
স্বজনরা। চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা।
.
হামলার ঘটনায় শনিবার রাত ১০টায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.মাফিজুর রহমান সোহান বাদী হয়ে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের ইকবালপুর গ্রাম থেকে আসামি সাইদুর রহমান (৪০) ও শহিদুল্লাহকে (৪২) গ্রেফতার করে। এদিকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসক না আসায় রোগীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে।
.
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এক অসুস্থ নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বহিরাগতদের হামলা, কক্ষ ভাঙচুর, মেডিক্যাল অফিসারকে মারধর এবং বহিরাগত ও ইর্ন্টানি চিকিৎসকদের মধ্যে সংর্ঘষের সময় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
.
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতকরণ, সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক নিরাপত্তা প্রদান-এই তিন দফা দাবিতে চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের
কর্মবিরতি চলছে। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তিনি।
.
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শনিবার রাত ১০টায় ৫ জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।