করোনাভীতি কাটিয়ে ঢাকায় ফুটবল উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০১ Time View

বিশেষ সংবাদদাতা:

বাংলাদেশে ফুটবল এখন আর উৎসব নয়! আক্ষেপ আর হতাশার আরেক নাম হয়ে উঠেছে। গত প্রায় এক যুগে দেশের ফুটবলের গ্রাফ যেভাবে নিম্নমুখী, তাতে দর্শকরাও স্বপ্ন দেখা একরকম ছেড়েই দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চিত্র সেই ধারনাকে ভুল প্রমাণ করবে নিশ্চিতভাবেই।

করোনার ভয়াবহতা থামেনি; বরং শীতের আগমনী বার্তায় শঙ্কা আরও বাড়িয়েছে। লম্বা বিরতির পর দেশে দেশে মাঠে ফিরেছে ফুটবল। ইউরোপসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে খেলা হচ্ছে দর্শকবিহীন মাঠে। তবে নেপালের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে দর্শকদের সীমিত আকারে মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

কিন্তু এদিন জাতীয় দলকে সমর্থন জানাতে রীতিমতো দর্শকের ঢল নেমেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া এক সাংবাদিক জানালেন, ৮ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্টেডিয়ামে তার চেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

এক দর্শক বলেন, অনেকদিন পর জাতীয় দল মাঠে নেমেছে। দারুণ লাগছে। ভেবেছিলাম বেশি দর্শক হবে না। কিন্তু স্টেডিয়াম তো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।

আরেক দর্শক বলেন, করোনার ভয়কে জয় করে জাতীয় দলকে সমর্থন করতে এসেছি।

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয়েছে। প্রায় দশ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরছে বাংলাদেশ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে লড়াই শুরু হয় বিকেল ৫টায়।

২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটা এখনও দুঃসহ স্মৃতি হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ২-০ গোলের হারে শেষ হয় বাংলাদেশের সাফের মিশন। দু’বছর পর আবারও একই ভেন্যুতে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেপালের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে তাই প্রস্তুতি সেরে নিতে নেপাল বধের লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়াদের।

এ ম্যাচের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চান কোচ জেমি ডে। দীর্ঘদিন পর ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়াদের। অন্যদিকে, করোনায় জর্জরিত নেপালও সব সমস্যা পেছনে ফেলে জয় পেতে মরিয়া হয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়েছে বিকেল ৫টায়।

তিন সপ্তাহ ধরে টানা অনুশীলনে মরিচা ধরা ফিটনেসের ঘাটতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে জামাল ভূঁইয়ারা। অন্যদিকে, ম্যাচের আগে একেবারেই অনুশীলনের সুযোগ পায়নি নেপাল। এর ওপর করোনার হানায় দিশেহারা কোচ বাল গোপাল মাহাজন। ঢাকায় আসার আগে ৬ জন। আর ম্যাচের আগে করোনা টেস্টে পজিটিভ ডিফেন্ডার রজিন ধিমাল। প্রতিপক্ষকে কাবু করার জন্য তাদের দুর্বলতা পুঁজি কর নয় বরং নিজেদের চেষ্টাতেই জয়ের লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়ার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

করোনাভীতি কাটিয়ে ঢাকায় ফুটবল উৎসব

Update Time : ১২:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০

বিশেষ সংবাদদাতা:

বাংলাদেশে ফুটবল এখন আর উৎসব নয়! আক্ষেপ আর হতাশার আরেক নাম হয়ে উঠেছে। গত প্রায় এক যুগে দেশের ফুটবলের গ্রাফ যেভাবে নিম্নমুখী, তাতে দর্শকরাও স্বপ্ন দেখা একরকম ছেড়েই দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চিত্র সেই ধারনাকে ভুল প্রমাণ করবে নিশ্চিতভাবেই।

করোনার ভয়াবহতা থামেনি; বরং শীতের আগমনী বার্তায় শঙ্কা আরও বাড়িয়েছে। লম্বা বিরতির পর দেশে দেশে মাঠে ফিরেছে ফুটবল। ইউরোপসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে খেলা হচ্ছে দর্শকবিহীন মাঠে। তবে নেপালের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে দর্শকদের সীমিত আকারে মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

কিন্তু এদিন জাতীয় দলকে সমর্থন জানাতে রীতিমতো দর্শকের ঢল নেমেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া এক সাংবাদিক জানালেন, ৮ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্টেডিয়ামে তার চেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

এক দর্শক বলেন, অনেকদিন পর জাতীয় দল মাঠে নেমেছে। দারুণ লাগছে। ভেবেছিলাম বেশি দর্শক হবে না। কিন্তু স্টেডিয়াম তো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।

আরেক দর্শক বলেন, করোনার ভয়কে জয় করে জাতীয় দলকে সমর্থন করতে এসেছি।

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয়েছে। প্রায় দশ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরছে বাংলাদেশ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে লড়াই শুরু হয় বিকেল ৫টায়।

২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটা এখনও দুঃসহ স্মৃতি হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ২-০ গোলের হারে শেষ হয় বাংলাদেশের সাফের মিশন। দু’বছর পর আবারও একই ভেন্যুতে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেপালের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে তাই প্রস্তুতি সেরে নিতে নেপাল বধের লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়াদের।

এ ম্যাচের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চান কোচ জেমি ডে। দীর্ঘদিন পর ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়াদের। অন্যদিকে, করোনায় জর্জরিত নেপালও সব সমস্যা পেছনে ফেলে জয় পেতে মরিয়া হয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়েছে বিকেল ৫টায়।

তিন সপ্তাহ ধরে টানা অনুশীলনে মরিচা ধরা ফিটনেসের ঘাটতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে জামাল ভূঁইয়ারা। অন্যদিকে, ম্যাচের আগে একেবারেই অনুশীলনের সুযোগ পায়নি নেপাল। এর ওপর করোনার হানায় দিশেহারা কোচ বাল গোপাল মাহাজন। ঢাকায় আসার আগে ৬ জন। আর ম্যাচের আগে করোনা টেস্টে পজিটিভ ডিফেন্ডার রজিন ধিমাল। প্রতিপক্ষকে কাবু করার জন্য তাদের দুর্বলতা পুঁজি কর নয় বরং নিজেদের চেষ্টাতেই জয়ের লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়ার।