‘ইতিহাসের সুরক্ষিত নির্বাচন’, ট্রাম্পের অভিযোগ নাকচ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৫০:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৩৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এবার ‘আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আনা ‘ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন নির্বাচনী সুরক্ষা কর্মকর্তারা।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কর্মকর্তারা দাবি করেন, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এতোটাই সুরক্ষিত ছিল যা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। এমনকি ভোট জালিয়াতির প্রশ্নই আসে না বলে উল্লেখ করেন তারা।
.
ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেন এই নির্বাচনে তার সমর্থনে পড়া ২৭ লাখ ভোট মুছে ফেলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিটি ঘোষণায় জানায়, ট্রাম্পের এমন অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই যে, ভোট মুছে ফেলা, চুরি করা, এমনকি সমঝোতার মাধ্যমে ভোট পরিবর্তন করা হয়েছে।
.
সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল এখনও মেনে নেননি দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে ইতোমধ্যে বেশ কিছু মামলাও করেছেন তিনি। তবে এতো সব অভিযোগের কোন প্রমাণ হাজির করতে পারেনি নি ট্রাম্প।
.
বৃহস্পতিবার কমিটি অব দ্য সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি- সিসা বলেছে, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা বেশ কিছু অমূলক দাবি এবং ভুল তথ্যের সুযোগের কথা জানতে পারলেও আমরা আমাদের নির্বাচনের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী। যা আপনাদেরও থাকা উচিত।’
.
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘নির্বাচন নিয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে যান, তারাই আপনাদের সঠিক ব্যাখা দিতে পারেন’।
.
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) নির্বাচনের ফলাফল বা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য ‘রিটুইট’ না করতে অনুরোধ করেছেন সিসা’র প্রধান ক্রিস্টোফার ক্রেবস। এমন অনুরোধের জেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে পদত্যাগ করাতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন ক্রেবস। এর আগে বৃহস্পতিবার সিসা’র সহযোগী পরিচালক ব্রায়ান ওয়ার পদত্যাগ করেন। গত সপ্তাহে তাকে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
.
এদিকে, রিপাবলিকানদের ঘাঁটিতে বিজয়ের নিশানা ওড়ালেন নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন-এর প্রজেক্টে দেখানো হয়েছে, অঙ্গরাজ্যটির ১১টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট জমা পড়েছে বাইডেনের পকেটে। এ নিয়ে বাইডেনের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯০। বাইডেনের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ২১৭।
.
সিএনএন-এর সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাইডেন অ্যারিজোনায় পেয়েছেন ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮৪টি পপুলার ভোট। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৫০টি ভোট। এই রাজ্যে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট।
.
বাইডেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এই লক্ষ্যে নিজ নির্বাচনী অঙ্গরাজ্যে ডেলাওয়্যার থেকেই তার প্রশাসন গোছানোর প্রস্তুতি অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

‘ইতিহাসের সুরক্ষিত নির্বাচন’, ট্রাম্পের অভিযোগ নাকচ

Update Time : ০৯:৫০:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এবার ‘আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আনা ‘ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন নির্বাচনী সুরক্ষা কর্মকর্তারা।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কর্মকর্তারা দাবি করেন, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এতোটাই সুরক্ষিত ছিল যা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। এমনকি ভোট জালিয়াতির প্রশ্নই আসে না বলে উল্লেখ করেন তারা।
.
ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেন এই নির্বাচনে তার সমর্থনে পড়া ২৭ লাখ ভোট মুছে ফেলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিটি ঘোষণায় জানায়, ট্রাম্পের এমন অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই যে, ভোট মুছে ফেলা, চুরি করা, এমনকি সমঝোতার মাধ্যমে ভোট পরিবর্তন করা হয়েছে।
.
সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল এখনও মেনে নেননি দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে ইতোমধ্যে বেশ কিছু মামলাও করেছেন তিনি। তবে এতো সব অভিযোগের কোন প্রমাণ হাজির করতে পারেনি নি ট্রাম্প।
.
বৃহস্পতিবার কমিটি অব দ্য সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি- সিসা বলেছে, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা বেশ কিছু অমূলক দাবি এবং ভুল তথ্যের সুযোগের কথা জানতে পারলেও আমরা আমাদের নির্বাচনের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী। যা আপনাদেরও থাকা উচিত।’
.
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘নির্বাচন নিয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে যান, তারাই আপনাদের সঠিক ব্যাখা দিতে পারেন’।
.
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) নির্বাচনের ফলাফল বা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য ‘রিটুইট’ না করতে অনুরোধ করেছেন সিসা’র প্রধান ক্রিস্টোফার ক্রেবস। এমন অনুরোধের জেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে পদত্যাগ করাতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন ক্রেবস। এর আগে বৃহস্পতিবার সিসা’র সহযোগী পরিচালক ব্রায়ান ওয়ার পদত্যাগ করেন। গত সপ্তাহে তাকে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
.
এদিকে, রিপাবলিকানদের ঘাঁটিতে বিজয়ের নিশানা ওড়ালেন নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন-এর প্রজেক্টে দেখানো হয়েছে, অঙ্গরাজ্যটির ১১টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট জমা পড়েছে বাইডেনের পকেটে। এ নিয়ে বাইডেনের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯০। বাইডেনের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ২১৭।
.
সিএনএন-এর সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাইডেন অ্যারিজোনায় পেয়েছেন ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮৪টি পপুলার ভোট। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৫০টি ভোট। এই রাজ্যে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট।
.
বাইডেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এই লক্ষ্যে নিজ নির্বাচনী অঙ্গরাজ্যে ডেলাওয়্যার থেকেই তার প্রশাসন গোছানোর প্রস্তুতি অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন তিনি।