আ.লীগের নেতৃত্বেই স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • / ১৩৬ Time View

মো: মহিউদ্দিন:

এশিয়া মহাদেশের প্রাচীনতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এটি শুধুই একটি রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি জাতির অভ্যুদয় ও স্বাধীনতা প্রাপ্তির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন পুরান ঢাকার টিকাটুলির কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেন প্যালেসে দলটির প্রতিষ্ঠা হয়।

জাতীয়তাবাদ,গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই যার ভিত্তি। পৃথিবীর ইতিহাসে জনমানুষের অধিকার আদায়ে লড়ে যাওয়া দল হিসেবে এটি অন্যতম। এমন দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন একটি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

পৃথিবীতে নিজেদের ভাষা ও স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য জীবন দিয়েছে এমন জাতি আর দ্বিতীয়টি নেই। যা বাঙালির পক্ষেই সম্ভব হয়েছে তাও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বই। শোষিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের অধিকার আদায়ে সব সময় কথা বলা প্রতিবাদী এক কন্ঠস্বর আওয়ামী লীগ।

৫৪ এর প্রাদেশিক নির্বাচন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সকল আন্দোলন সংগ্রামে জন মানুষের পাশে থাকা একমাত্র রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২ বছরে পদার্পন করছে দলটি। এদেশের যা কিছু অর্জন আর সমৃদ্ধির সকল কিছুর মূল হোতা জন মানুষের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

আমজনতার অনুভূতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দুর্যোগে,দুর্বিপাকে সব সময় জন মানুষের পাশে থাকা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বৈশ্বিক এই মহামারী করোনাতেও মানুষের পাশে থেকে মানবতার সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকা একমাত্র রাজনৈতিক দল জন মানুষের আওয়ামী লীগ।

এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে বাংলাদেশকে কটুক্তি করলেও আজ বিশ্বের বুকে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে প্রিয় স্বদেশ। সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রযুক্তির বিস্ময় ঘটিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবেই যার আত্মপরিচয়। মহাকাশ জয়, বৈশ্বিক সামরিক শক্তিতে অবস্থান, নিজস্ব অর্থায়ানে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন,নারীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সার্বজনীন শিক্ষা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বৈশ্বিক সূচকে অবস্থান করে নিজেদের আত্নমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ যা সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল কতৃক ঘটিত সরকারের নেতৃত্বই।

ঐতিহ্যবাহী এই দলটির বর্তমান সভাপতি ও সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলাই যার লক্ষ্য। সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করাই যার একমাত্র উদ্দেশ্য।

ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরব, সম্মান ও অর্জনের ধারাবাহিকতাই বহমান থাকুক প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

লেখক: সাবেক সহ-সভাপতি, ঢা.ম.দ ছাত্রলীগ ও সাবেক সহ-সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

Please Share This Post in Your Social Media

আ.লীগের নেতৃত্বেই স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ

Update Time : ০৪:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

মো: মহিউদ্দিন:

এশিয়া মহাদেশের প্রাচীনতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এটি শুধুই একটি রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি জাতির অভ্যুদয় ও স্বাধীনতা প্রাপ্তির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন পুরান ঢাকার টিকাটুলির কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেন প্যালেসে দলটির প্রতিষ্ঠা হয়।

জাতীয়তাবাদ,গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই যার ভিত্তি। পৃথিবীর ইতিহাসে জনমানুষের অধিকার আদায়ে লড়ে যাওয়া দল হিসেবে এটি অন্যতম। এমন দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন একটি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

পৃথিবীতে নিজেদের ভাষা ও স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য জীবন দিয়েছে এমন জাতি আর দ্বিতীয়টি নেই। যা বাঙালির পক্ষেই সম্ভব হয়েছে তাও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বই। শোষিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের অধিকার আদায়ে সব সময় কথা বলা প্রতিবাদী এক কন্ঠস্বর আওয়ামী লীগ।

৫৪ এর প্রাদেশিক নির্বাচন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সকল আন্দোলন সংগ্রামে জন মানুষের পাশে থাকা একমাত্র রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২ বছরে পদার্পন করছে দলটি। এদেশের যা কিছু অর্জন আর সমৃদ্ধির সকল কিছুর মূল হোতা জন মানুষের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

আমজনতার অনুভূতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দুর্যোগে,দুর্বিপাকে সব সময় জন মানুষের পাশে থাকা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বৈশ্বিক এই মহামারী করোনাতেও মানুষের পাশে থেকে মানবতার সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকা একমাত্র রাজনৈতিক দল জন মানুষের আওয়ামী লীগ।

এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে বাংলাদেশকে কটুক্তি করলেও আজ বিশ্বের বুকে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে প্রিয় স্বদেশ। সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রযুক্তির বিস্ময় ঘটিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবেই যার আত্মপরিচয়। মহাকাশ জয়, বৈশ্বিক সামরিক শক্তিতে অবস্থান, নিজস্ব অর্থায়ানে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন,নারীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সার্বজনীন শিক্ষা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বৈশ্বিক সূচকে অবস্থান করে নিজেদের আত্নমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ যা সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল কতৃক ঘটিত সরকারের নেতৃত্বই।

ঐতিহ্যবাহী এই দলটির বর্তমান সভাপতি ও সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলাই যার লক্ষ্য। সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করাই যার একমাত্র উদ্দেশ্য।

ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরব, সম্মান ও অর্জনের ধারাবাহিকতাই বহমান থাকুক প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

লেখক: সাবেক সহ-সভাপতি, ঢা.ম.দ ছাত্রলীগ ও সাবেক সহ-সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।