বিপিএল: হ্যাটট্রিক হার ঢাকা ক্যাপিটালসের
- Update Time : ১২:৫০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
- / 24
এবারের বিপেএলে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় শাকিব খানের দল ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে আলোচনায় থাকলেও মাঠের লড়াইযে পিছিয়ে রয়েছে দলটি। হারের বৃত্ত থেকে যেন বেরই হতে পারছে না ঢাকা ক্যাপিটালস।
এখনও পর্যন্ত পয়েন্টের খাতায় খুলতে পারেনি ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের মালিকানাধীন এই দলটি। টানা তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে তারা। প্রথম ম্যাচে রংপুরের কাছে ৪০ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীর কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায় ঢাকা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে ২০ রানে হেরেছে রাজধানীর এই দলটি। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলটিকে একা হাতে জয় এনে দেওয়ার প্রায় অসম্ভব স্বপ্ন দেখিয়েছেন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। সাবেক এই শ্রীলঙ্কান তারকা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিও করেছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত জয় পাওয়া হয়নি। খুলনা টাইগার্সের করা ১৭৩ রানের জবাবে ১৫৩ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা।
ঢাকার হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। প্রথম দুই ওভারেই তারা তুলে নেন ১৭ রান। তবে পরের ওভারেই ভেঙে যায় এই জুটি। নিজের ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন লিটন দাস। আগের ম্যাচে শূন্য রানে ফেরার পর আজ তিনি ২ রানেই ফিরে যান সাজঘরে।
লিটন দাসের বিদায়ের পরের বলেই সাজঘরে ফিরে যান স্টিফেন এসকিনাজি। শূন্য রান করেই মেহেদেী হাসান মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তার বিদাযে ১৭ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।
এই দুই ব্যাটারের পথ ধরে একে একে সাজঘরে ফিরে যান তানজিদ হাসান ও শাহাদাত হোসেন দিপু। তানজিদ হাসান ১৫ বলে ১৯ রান ও শাহাদাত হোসেন দিপু ১০ বলে ৬ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তাদের দ্রুত বিদায়ে ২৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা।
২৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন শুভম রঞ্জন ও চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। তবে তারাও বেশিদূর এগোতে পারেননি। দলীয় ৪০ রানে শুভম রঞ্জনের বিদায়ে ১৪ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি। ১০ বলে ৬ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শুভম রঞ্জন।
শুভম রঞ্জনের বিদায়ের পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান আলাউদ্দিন বাবু। ৩ বলে শূন্য রান করে জিয়াউর রহমানের শিকার হয়ে সাজঘরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৪১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা।
এরপরেই চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। স্বদেশি সতীর্থ চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে এরপর থিসারা পেরেরা গড়েন ১১২ রানের বড় জুটি। যদিও পুরো দলকে একাই টেনেছেন পেরেরা। ৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরির পর বাকি ২৫ বলে করেন ৫৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৭টি ছক্কার বাউন্ডারি। সেই সুবাদেই নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটের তাদের রান পৌঁছায় ১৫৩ রানে। ২০ রানের হার নিয়ে চলতি আসরে তিন ম্যাচেই তিক্ত স্বাদ পেল ঢাকা। খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ।