ডি ককের সেঞ্চুরি, রানের পাহাড়ের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
- Update Time : ০৭:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
- / 115
স্পোর্টস ডেস্ক
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান গতকাল জানিয়েছিলেন, আজকের ম্যাচে টস জিততে চান তিনি। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা বুঝালেন কেন ওয়াংখেড়ের ব্যাটিং পিচে তাদের আগে ব্যাটিং দেওয়া ভয়ংকর। এই বিশ্বকাপে এক ম্যাচ বাদে প্রত্যেক ম্যাচেই প্রোটিয়াদের রান ৩০০ পেরিয়েছে। আজও তার ব্যাতিক্রম হলো না। টাইগার বোলারদের মাঠের চারপাশে পিটিয়ে এই বিশ্বকাপে আবারও রানের পাহাড়ে চড়ে বসল দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ককের শতক এবং ক্লাসেন ঝড়ে বাংলাদেশকে ৩৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ।
নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন ট্রাকে আনার জন্য আজকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয় ছাড়া অন্য কিছু মাথায় ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের বিখ্যাত ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচে টসে হেরে বোলিংয়ে ভালো শুরু করে বাংলাদেশের বোলাররা। পাওয়ার প্লে’তে প্রোটিয়াদের দুই উইকেট ফেলে দিলেও পরবর্তীতে কুইন্টন ডি ককের অসাধারণ ১৭৪ এবং হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়ো ৯০ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।
ওয়াংখেড়ের ব্যাটিং সহায়ক পিচে টস জিতে ব্যাটিং নিতে একবারের জন্যও দ্বিধাবোধ করেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক আদ্রিয়েন মার্করাম। তবে কাঙ্খিত শুরু তাকে এনে দিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনাররা।
মুম্বাইয়ের ব্যাটিং স্বর্গে দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশ উইকেট পেতে পারত। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের বলে রেজা হেনড্রিকসের ক্যাচ ছাড়েন তানজিদ হাসান।
আবারও রানের পাহাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
ডি ককের শতকে বড় সংগ্রহের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
তবে হেনড্রিকসকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শরীফুল। ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে এই ওপেনারকে ফিরিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল। গুড লেন্থ থেকে খানিকটা ইন সুইং করা বল ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে উইকেটে আঘাত হানে। এরপরের ওভারে আবার বাংলাদেশকে উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন মিরাজ। বিপদজনক ফন ডার ডুসেনকে ১ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
তবে এরপরের থেকেই বাকি ম্যাচ জুড়ে শুধুই ডি কক শো। মার্করামের সাথে মিলে ১৩১ রানের জুটিতে পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিয়ে নেয় ডি কক। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে দুজনই তুলে নেন নিজেদের ফিফটি। ৬০ রানে অধিনায়ক সাকিবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মার্করাম। তবে মার্করামের ফেরার পরেই এই বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় শতক তুলে নেন ডি কক।
এরপর ক্লাসেনকে নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের বোলারদের ওপর তার অত্যাচার। শতকের পর হাত খুলে খেলা শুরু করেন এই বিশ্বকাপে তিনটি শতক করা এই ওপেনার। সাকিব-শরীফুলদের তুলোধুনো করে ডি কক এই বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান করেন। যেভাবে খেলছিলেন দ্বিশতকও তার নাগালের মধ্যেই ছিল। তবে ১৭৪ রানে হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ডি ককের সাথে ১৪২ রানের জুটির পর শুরু হয় ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের তাণ্ডব। দুজনের ২০ বলে ৫০ রানের জুটি প্রোটিয়াদের সংগ্রহ নিয়ে যান ৩৮২ তে। ক্লাসেনেরও সুযোগ ছিল শতক হাঁকানোর তবে শেষ ওভারের হাসান মাহমুদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান ছাড়াও মিরাজ, সাকিব ও শরীফুল একটি করে উইকেট নিয়েছে।