ফাইনালের জুজু ভাঙবেন তো সাকিবরা?
- Update Time : ১২:২৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
- / 130
স্পোর্টস ডেস্ক
২০১২ থেকে ২০১৮ সাল। এই ৬ বছরে এশিয়া কাপে তিনবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। শিরোপা জয়ের আক্ষেপ থাকলেও মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিতে পারে লাল-সবুজের দল।
যদিও এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরে বাংলাদেশের প্রথম জয় পেতে সময় লেগেছিল ১৮ বছর। ১৯৮৪ সালে শুরু হয় এশিয়া কাপ। সেবার খেলা হয়নি বাংলাদেশের। তবে পরের আসরগুলোতে নিয়মিত অংশগ্রহণের মতো, হারের চিত্রটাও নিয়মিত ছিল।
প্রথম জয় পেতে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে ১৬ ম্যাচ। অবশেষে ২০০৪ সালে হংকংকে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। সেই আসরে আরও পাঁচ ম্যাচ খেললেও জয়বঞ্চিত থাকে লাল-সবুজরা।
এরপর আবারও দীর্ঘপ্রতীক্ষা। এশিয়া কাপে দ্বিতীয় জয় পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও চার বছর। ২০০৮ সালের আসরে টাইগারদের দ্বিতীয় শিকার দুর্বল দল সংযুক্ত আরব আমিরাত। অবশ্য ২০০৪ সালের মতো এবারও আর কোনো জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
পরের আসরেও ২০১০ সালে বাংলাদেশ ছিল জয়হীন। তবে ঘরের মাঠে ২০১২ সালে মহাদেশীয় এই আসরে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করে বাংলাদেশ। সেবার শক্তিশালী দলগুলোতে বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে কীভাবে লড়াই করতে হয়, তা ক্রিকেট বিশ্বকে দেখায় বাংলাদেশ।
সেবার প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারলেও গ্রুপপর্বে প্রথমে ভারত ও পরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। যদিও শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে পাকিস্তানের কাছে মাত্র দুরানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় টাইগারদের।
পরের এশিয়া কাপের আসর হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সেখানেও সবাইকে চমকে দেয় বাংলাদেশ। মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৬ সালের এই আসরে বাংলাদেশ প্রমাণ করে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটেও লাল-সবুজরা বেশ ভয়ংকর। তবে ফাইনালে লিখা হয়নি ভারত বধের মহাকাব্য।
পরের এশিয়া কাপের আসর বসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ২০১৮ সালে মরুর বুকে এবার ঝড় তোলে লাল-সবুজেরা। মাশরাফির নেতৃত্বে আবারও ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার পুড়তে হয় মাত্র ৩ উইকেটের আক্ষেপে।
২০২২ সালের এশিয়া কাপ ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির ফরম্যাট হওয়ার এই আসর একেবারেই বাজে কাটে লাল সবুজদের। গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি সাকিবের দল।
এবার ওয়ানডে ফরম্যাটের হবে এশিয়া কাপ। হাইব্রিড মডেলের এই আসর বসছে দুই দেশে। ৩০ আগস্ট পাকিস্তানের উদ্বোধনের পর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ শ্রীলঙ্কায়। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান।
দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে ওয়ানডে ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক সাকিব জানান ম্যাচ বাই ম্যাচ জয়ের কথা। আর পেসার তাসকিন আহমেদ স্বপ্ন দেখা, তিন ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জয়ের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফাইনালে ব্যর্থতার ট্যাবু ভাঙতে পারবে তো বাংলাদেশ। নাকি আবারও শেষ পর্যন্ত হতাশই হবে সঙ্গী।