৯০ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিদায়

  • Update Time : ১১:০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩
  • / 155

স্পোর্টস ডেস্ক

৭০ রানে নিজেদের প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অল আউট হলো ১৬০ রানে। মাঝে ব্যাটিং আসা জাকির হাসান, সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার কিংবা আকবর আলী, কেউই নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করতে পারলেন না। শেষ ২২৪ বলে বাংলাদেশের দরকার ১৪২ রান। টাইগারদের হাতে তখনও ৯ উইকেট। তানজিদ হাসান তামিম এবং নাইম শেখ যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে বাংলাদেশের জয়টা ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার। ভারতের স্পিনারদের চাপে ভেঙে পড়লো বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। শেষ ৯০ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে সহজ ম্যাচ হেরে গেল বাংলাদেশ। ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৫১ রানে হেরে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলো সাইফের দল।

২১২ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন নাইম ও তামিম। পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬০ রান। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ১৩তম ওভারে মানব সুথারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ৩৮ রান করা নাইম। আরেক ওপেনার তামিম অবশ্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ ভালোভাবেই। তবে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। নিশান্থ সিন্ধুকে মিড অফের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে নিকিন জোসকে ক্যাচ দেন ৫১ রান করা তামিম। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেনি জাকির। সুথারের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৫ রান করা এই ব্যাটার।

যদিও জাকিরের সেই আউটে খানিকটা বিতর্ক আছে। রিপ্লেতে দেখে ধারণা করা যাচ্ছিলো বল অফ স্টাম্পের বাইরে ইমপ্যাক্ট করেছিল। তবে তাকে ফিরেই যেতে হয়। ভালো শুরু পেয়েছিলেন সাইফ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। অভিষেক শর্মাকে তুলি মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ২২ রান করে। এক প্রান্তে মাহমুদুল হাসান জয় দাঁড়িয়ে থাকলেও অপরপ্রান্তে শেখ মেহেদি, সৌম্য, আকবর এবং রাকিবুল ইসলামরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলেও। জয়ও শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২০ রান করে। শেষ ব্যাটার হিসেবে রিপন মণ্ডল আউট হলে ১৬০ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে সিন্ধু পাঁচটি এবং সুথার তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে ফাইনালে যাওয়ার মিশনে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক সাইফ। দারুণ ছন্দে থাকলেও ব্যাটিংয়ে নামা ভারতকে শুরুটা ভালো করতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের খানিকটা লাফিয়ে উঠা ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন সুদর্শন। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এদিন আউট হয়েছেন ২১ রান করে। তিনে নেমে অভিষেককে ভালোভাবেই সঙ্গ দিচ্ছিলেন নিকিন জোস। যদিও রাকিবুলের বলে শুরুর দিকেই ফিরতে পারতেন তিনি। বাঁহাতি এই স্পিনারের বেরিয়ে যাওয়া বলে উইকেটে ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি নিকিন। বল গ্লাভস বন্দি করে দ্রুততার সঙ্গে স্টাম্প ভেঙ্গেছিলেন আকবর।

রিপ্লেতে পা খানিকটা উপরে থাকা অবস্থায় স্টাম্প ভাঙতে দেখা গেলেও সেটা নট আউট দেন টিভি আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি। যদিও শুরুতে তাকে আউট দিয়েছিলেন টিভি আম্পায়ার। বিতর্কিত সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। জীবন পেয়েও অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি নিকিন। সাইফের বলে লেগ সাইডে পুশ করতে গিয়ে জাকির হাসানের হাতে ধরা পড়েন ১৭ রান করা এই ব্যাটার।

এদিকে নিকিনের বিদায়ের পর রাকিবুলের স্লটের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে থাকা সাকিবকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অভিষেক। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান। সুবিধা করতে পারেনি নিশাত সিন্ধু ও রিয়ান পরাগ। শেষ মেহেদির বলে ১ রান করে ফিরেছেন ধ্রুব জুরেলও। তবে ভারতকে একাই টেনেছেন ধুল। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মানব সুথার। ২১ রান করা এই ব্যাটারকে রান আউট করেছেন জাকির। হাফ সেঞ্চুরি করা ধুল শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ৬৬ রানের ইনিংস খেলে। তার বিদায়ে ২১১ রানে অল আউট হয় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল, মেহেদি এবং সাকিব।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


৯০ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিদায়

Update Time : ১১:০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক

৭০ রানে নিজেদের প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অল আউট হলো ১৬০ রানে। মাঝে ব্যাটিং আসা জাকির হাসান, সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার কিংবা আকবর আলী, কেউই নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করতে পারলেন না। শেষ ২২৪ বলে বাংলাদেশের দরকার ১৪২ রান। টাইগারদের হাতে তখনও ৯ উইকেট। তানজিদ হাসান তামিম এবং নাইম শেখ যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে বাংলাদেশের জয়টা ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার। ভারতের স্পিনারদের চাপে ভেঙে পড়লো বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। শেষ ৯০ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে সহজ ম্যাচ হেরে গেল বাংলাদেশ। ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৫১ রানে হেরে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলো সাইফের দল।

২১২ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন নাইম ও তামিম। পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬০ রান। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ১৩তম ওভারে মানব সুথারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ৩৮ রান করা নাইম। আরেক ওপেনার তামিম অবশ্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ ভালোভাবেই। তবে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। নিশান্থ সিন্ধুকে মিড অফের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে নিকিন জোসকে ক্যাচ দেন ৫১ রান করা তামিম। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেনি জাকির। সুথারের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৫ রান করা এই ব্যাটার।

যদিও জাকিরের সেই আউটে খানিকটা বিতর্ক আছে। রিপ্লেতে দেখে ধারণা করা যাচ্ছিলো বল অফ স্টাম্পের বাইরে ইমপ্যাক্ট করেছিল। তবে তাকে ফিরেই যেতে হয়। ভালো শুরু পেয়েছিলেন সাইফ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। অভিষেক শর্মাকে তুলি মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ২২ রান করে। এক প্রান্তে মাহমুদুল হাসান জয় দাঁড়িয়ে থাকলেও অপরপ্রান্তে শেখ মেহেদি, সৌম্য, আকবর এবং রাকিবুল ইসলামরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলেও। জয়ও শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২০ রান করে। শেষ ব্যাটার হিসেবে রিপন মণ্ডল আউট হলে ১৬০ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে সিন্ধু পাঁচটি এবং সুথার তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে ফাইনালে যাওয়ার মিশনে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক সাইফ। দারুণ ছন্দে থাকলেও ব্যাটিংয়ে নামা ভারতকে শুরুটা ভালো করতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের খানিকটা লাফিয়ে উঠা ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন সুদর্শন। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এদিন আউট হয়েছেন ২১ রান করে। তিনে নেমে অভিষেককে ভালোভাবেই সঙ্গ দিচ্ছিলেন নিকিন জোস। যদিও রাকিবুলের বলে শুরুর দিকেই ফিরতে পারতেন তিনি। বাঁহাতি এই স্পিনারের বেরিয়ে যাওয়া বলে উইকেটে ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি নিকিন। বল গ্লাভস বন্দি করে দ্রুততার সঙ্গে স্টাম্প ভেঙ্গেছিলেন আকবর।

রিপ্লেতে পা খানিকটা উপরে থাকা অবস্থায় স্টাম্প ভাঙতে দেখা গেলেও সেটা নট আউট দেন টিভি আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি। যদিও শুরুতে তাকে আউট দিয়েছিলেন টিভি আম্পায়ার। বিতর্কিত সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। জীবন পেয়েও অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি নিকিন। সাইফের বলে লেগ সাইডে পুশ করতে গিয়ে জাকির হাসানের হাতে ধরা পড়েন ১৭ রান করা এই ব্যাটার।

এদিকে নিকিনের বিদায়ের পর রাকিবুলের স্লটের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে থাকা সাকিবকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অভিষেক। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান। সুবিধা করতে পারেনি নিশাত সিন্ধু ও রিয়ান পরাগ। শেষ মেহেদির বলে ১ রান করে ফিরেছেন ধ্রুব জুরেলও। তবে ভারতকে একাই টেনেছেন ধুল। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মানব সুথার। ২১ রান করা এই ব্যাটারকে রান আউট করেছেন জাকির। হাফ সেঞ্চুরি করা ধুল শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ৬৬ রানের ইনিংস খেলে। তার বিদায়ে ২১১ রানে অল আউট হয় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল, মেহেদি এবং সাকিব।