দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতল পাকিস্তান
- Update Time : ১১:২৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩
- / 126
স্পোর্টস ডেস্কঃ
টম লাথাম আউট হওয়ার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান, ওয়ানডে সিরিজ জয় হাতের মুঠোয়। ২৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪০ ওভার পর্যন্ত লক্ষ্যটা নাগালেই রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে দরকার ছিল ৯৭। কিন্তু পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেই সমীকরণ মেলাতে পারল না কিউইরা।
করাচিতে বুধবার ২৬ রানে জিতেছে বাবরের দল। বাঁচা-মরার ম্যাচে ২৮৭ রান তাড়ায় নিউ জিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ২৬১ রানে। টানা তিন জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-০তে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচসহ টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক খেলতে থাকেন দেখেশুনে। ফখরকে ফিরিয়ে নবম ওভারে শুরুর জুটি ভাঙেন ম্যাট হেনরি। চারটি চারে বাঁহাতি ওপেনার থামেন ১৯ রানে।
দ্বিতীয় উইকেটে ইমাম ও বাবর আজমের শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান। ৬৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ইমাম, ৫৮ বলে বাবর। দুই জনে ১২১ বলে গড়েন ১০৮ রানের জুটি।
আরও একবার ভালো শুরুটা বড় করতে ব্যর্থ বাবর। ৪৯ ও ৬৫ রানের পর পাকিস্তান অধিনায়ক এবার ফিরলেন ৫৪ করে। তার ৬২ বলের ইনিংসটি গড়া এক ছক্কা ও তিন চারে। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে অ্যাডাম মিল্নের চমৎকার এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ৯০রানে থামেন ইমাম। তার ১০৭ বলের দায়িত্বশীল ইনিংস গড়া সাত চার ও এক ছক্কায়।
প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমানরা। এক ছক্কায় ৩২ রান করতে ৩৪ বল খেলেন কিপার-ব্যাটসম্যান রিজওয়ান। ২৯ বলে তিন চারে সালমান করেন ৩১ রান। শেষ দিকে ১০ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে অপরাজিত ২১ রানের ইনিংসে দলকে তিনশ রানের কাছে নিয়ে যান শাদাব খান।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করে নিউ জিল্যান্ড। সাবলীল ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বোলিং সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন উইল ইয়াং ও টম ব্লান্ডেল।
রান আউটে বিচ্ছিন্ন হন দুই ওপেনার। তিন চারে ৩৩ রান করে ফিরে যান ইয়াং। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ক্রমে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারীরা। দুইবার জীবন পেলেও আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ড্যারিল মিচেল টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ছক্কার চেষ্টায় সীমানায় ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ইনিংস।
খুব ঝুঁকিপূর্ণ দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হয়ে যান ব্লান্ডেল। ৭৮ বলে সাতটি চারে এই ওপেনার করেন ৬৫ রান। তার বিদায়ে আরও কমে যায় রানের গতি। মার্ক চ্যাপম্যান ও হেনরি নিকোলসের দ্রুত বিদায়ের পর ফিরে যান এক প্রান্ত আগলে রাখা টম ল্যাথাম। তিনটি চারে ৬০ বলে ৪৫ রান করেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
শেষ দিকে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান কিছুটা কমান একবার জীবন পাওয়া কোল ম্যাকনকি। অভিষেকে ৪৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আগামী শুক্রবার একই মাঠে হবে চতুর্থ ওয়ানডে।