যেসব রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসি

  • Update Time : ১০:৪১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • / 193

স্পোর্টস ডেস্কঃ

সৌদি আরবের বিপক্ষে আজ কাতার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করত যাচ্ছে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে বেশ কিছু রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ও ক্ষুদে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি।

আজ মঙ্গলবার খেলতে নামলেই সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা ক্লাবের সদস্য হবেন মেসি।

সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় আগেই নাম লিখিয়েছেন মেক্সিকোর কিংবদন্তি গোলরক্ষক আন্তোনিও কারবাহাল, ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ এবং জার্মানির মিডফিল্ডার লোথার ম্যাথিউস। এবার সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার তালিকায় নাম উঠবে মেসি। সুযোগ থাকছে পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও।

২০০৬, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ সর্বশেষ চার বিশ্বকাপে খেলেছেন মেসি ও রোনালদো। এবারের বিশ্বকাপ হবে মেসি ও রোনালদোর পঞ্চম বিশ্বকাপ।

ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন জার্মানির ম্যাথিউস। এখন পর্যন্ত মেসি খেলেছেন ১৯টি। আর ৭টি ম্যাচ খেললেই ম্যাথাউসকে টপকে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন মেসি। এজন্য সেমিফাইনালে উঠতে হবে মেসির আর্জেন্টিনাকে। গ্রুপ পর্বে ৩টি, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি মিলিয়ে মোট ৬টি খেলবেন মেসি।

সেমিতে হেরে গেলে তৃতীয়স্থান নির্ধারণীসহ ৭টি ম্যাচ খেলা হবে মেসির। অথবা ফাইনালে উঠলেও এই আসরে ৭টি ম্যাচ হয়ে যাবে মেসির। তাতেই বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হবেন তিনি।

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ২১টি ম্যাচ খেলেছেন কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনা। এখন পর্যন্ত ১৯টি ম্যাচ আছে মেসির। এবারের আসরের গ্রুপ পর্বে ৩টি ম্যাচ খেললে মেসির ম্যাচ সংখ্যা হবে ২২টি। তাতে ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলবেন মেসি।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। চারটি বিশ্বকাপে ১৭টি জয় আছে তার। বিশ্বকাপে মেসির জয় ১২টি। এবারের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচ জিতলেই ক্লোসাকে পেছনে ফেলবেন মেসি। সেমিতে হারালেও সমস্যা নেই। তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জয় পেলেই হবে মেসির।

অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেক্সিকোর সাবেক ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ। এই তালিকার দ্বিতীয়স্থানে আছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। ১৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ মঞ্চে এ পর্যন্ত ১২ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে উঠলেই মার্কেজকে ছাড়িয়ে যাবেন মেসি।

এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপের ২০০৬, ২০১৪ ও ২০১৮ আসরে গোল করেছেন মেসি। ২০১০ সালে গোল করতে পারেননি। এবার কাতার বিশ্বকাপে গোল করলে প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে চার বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়বেন মেসি।

বর্তমানে দিয়াগো ম্যারাডোনা ও গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সমান বিশ্বকাপে ৩টি করে গোল করেছেন মেসি। ম্যারাডোনা ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯৪ বিশ্বকাপে এবং বাতিস্তুতা ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২ বিশ্বকাপে গোল করেন।

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছেন বাতিস্তুতা। বাতিস্তুতাকে টপকাতে ৫ গোল লাগবে মেসির। বিশ্বকাপে মেসির মোট গোল ৬টি। ২০০৬ সালে ১টি, ২০১৪ সালে ৪টি এবং ২০১৮ সালে ১টি গোল করেছিলেন মেসি। এই আসরে বাতিস্তুতাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


যেসব রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসি

Update Time : ১০:৪১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

স্পোর্টস ডেস্কঃ

সৌদি আরবের বিপক্ষে আজ কাতার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করত যাচ্ছে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে বেশ কিছু রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ও ক্ষুদে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি।

আজ মঙ্গলবার খেলতে নামলেই সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা ক্লাবের সদস্য হবেন মেসি।

সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় আগেই নাম লিখিয়েছেন মেক্সিকোর কিংবদন্তি গোলরক্ষক আন্তোনিও কারবাহাল, ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ এবং জার্মানির মিডফিল্ডার লোথার ম্যাথিউস। এবার সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার তালিকায় নাম উঠবে মেসি। সুযোগ থাকছে পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও।

২০০৬, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ সর্বশেষ চার বিশ্বকাপে খেলেছেন মেসি ও রোনালদো। এবারের বিশ্বকাপ হবে মেসি ও রোনালদোর পঞ্চম বিশ্বকাপ।

ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন জার্মানির ম্যাথিউস। এখন পর্যন্ত মেসি খেলেছেন ১৯টি। আর ৭টি ম্যাচ খেললেই ম্যাথাউসকে টপকে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন মেসি। এজন্য সেমিফাইনালে উঠতে হবে মেসির আর্জেন্টিনাকে। গ্রুপ পর্বে ৩টি, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি মিলিয়ে মোট ৬টি খেলবেন মেসি।

সেমিতে হেরে গেলে তৃতীয়স্থান নির্ধারণীসহ ৭টি ম্যাচ খেলা হবে মেসির। অথবা ফাইনালে উঠলেও এই আসরে ৭টি ম্যাচ হয়ে যাবে মেসির। তাতেই বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হবেন তিনি।

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ২১টি ম্যাচ খেলেছেন কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনা। এখন পর্যন্ত ১৯টি ম্যাচ আছে মেসির। এবারের আসরের গ্রুপ পর্বে ৩টি ম্যাচ খেললে মেসির ম্যাচ সংখ্যা হবে ২২টি। তাতে ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলবেন মেসি।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। চারটি বিশ্বকাপে ১৭টি জয় আছে তার। বিশ্বকাপে মেসির জয় ১২টি। এবারের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচ জিতলেই ক্লোসাকে পেছনে ফেলবেন মেসি। সেমিতে হারালেও সমস্যা নেই। তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জয় পেলেই হবে মেসির।

অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেক্সিকোর সাবেক ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ। এই তালিকার দ্বিতীয়স্থানে আছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। ১৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ মঞ্চে এ পর্যন্ত ১২ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে উঠলেই মার্কেজকে ছাড়িয়ে যাবেন মেসি।

এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপের ২০০৬, ২০১৪ ও ২০১৮ আসরে গোল করেছেন মেসি। ২০১০ সালে গোল করতে পারেননি। এবার কাতার বিশ্বকাপে গোল করলে প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে চার বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়বেন মেসি।

বর্তমানে দিয়াগো ম্যারাডোনা ও গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সমান বিশ্বকাপে ৩টি করে গোল করেছেন মেসি। ম্যারাডোনা ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯৪ বিশ্বকাপে এবং বাতিস্তুতা ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২ বিশ্বকাপে গোল করেন।

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছেন বাতিস্তুতা। বাতিস্তুতাকে টপকাতে ৫ গোল লাগবে মেসির। বিশ্বকাপে মেসির মোট গোল ৬টি। ২০০৬ সালে ১টি, ২০১৪ সালে ৪টি এবং ২০১৮ সালে ১টি গোল করেছিলেন মেসি। এই আসরে বাতিস্তুতাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের।