ওয়ানডেতে আধিপত্য ধরে রাখার লক্ষ্য টাইগারদের

  • Update Time : ১১:৪০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • / 191

স্পোর্টস ডেস্কঃ

ইউন্ডিজ সিরিজের মতো হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে টি-স্পোর্টস চ্যানেলে।

উল্লেখ্য, এই সফরে সদ্যই জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের লজ্জা পায় বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি ফেভারিট ফরম্যাট নয় বাংলাদেশের। তারপরও আশা করা হয়েছিল, টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতবে টাইগাররা। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় জিম্বাবুয়ে। সেই সাথে এই ফরম্যাটে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় জিম্বাবুয়ে।

এই মুহূর্তে ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা দল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নয়টি দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে সাতটিতেই জিতেছে তারা। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা ও ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে দু’টি সিরিজ হারে তারা। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছে টাইগাররা। তাই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের শক্তি স্পষ্ট। জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশ সিরিজ হারলে সেটি হবে বড় ধরনের অঘটন।

২০১৩ সালের পর থেকে জিম্বাবুয়ের কাছে কোনো সিরিজ হারেনি টাইগাররা। ওই বছর ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সব ম্যাচে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৯ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা।

শুক্রবার বাংলাদেশ যখন তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি খেলতে নামবে, তখন তাদের নজর থাকবে জয়ের সংখ্যাটা ২০-এ নেয়া।

এদিকে, সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৭৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫০টিতে জিতেছে টাইগাররা। হেরেছে ২৮টিতে।

কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের ধারাকে কি আটকাতে পারবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করা জিম্বাবুয়ে? প্রশ্নটি অবশ্যই তাড়া করবে বাংলাদেশী ভক্তদের। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সংঘবদ্ধ এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ একটি দল জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারকে অসম্মানজনক বলে অভিহিত করে খেলোয়াড়দের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি জানান, দলের জয়ের জন্য ঝুঁকি নিয়ে না খেলে নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলেছেন তারা।

সুজন বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের কাছে হারব, আমি আশা করিনি। আমরা তাদের চেয়ে ভালো দল। আমি এটাকে অপমানজনক বলব।’

খালেদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘যখন আমাদের প্রতি ওভারে ১০ বা ১২ রানের প্রয়োজন ছিল, ওই সময় প্রতি ওভারে ছয় বা সাত করে রান নিয়েছি। কেউ ছক্কা মারার চেষ্টাও করেনি। সকলেই এক-দুই রানের জন্য খেলেছিল। নিজেদের জায়গা রক্ষা করার মতো ব্যাটিং করেছিল তারা।’

এদিকে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ওয়ানডে সিরিজে নামছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু কেমন হবে ওয়ানডে একাদশ! দেখে নেয়া যাক এক নজরে।

বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য):
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেট রক্ষক), এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসাইন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।

জিম্বাবুয়ে দল:
রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), তানাকা চিভাঙ্গা, লুক জংওয়ে, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধভের, তাদিওয়ানশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিয়োঙ্গা, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়াউচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও শিন উইলিয়ামস।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ওয়ানডেতে আধিপত্য ধরে রাখার লক্ষ্য টাইগারদের

Update Time : ১১:৪০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

স্পোর্টস ডেস্কঃ

ইউন্ডিজ সিরিজের মতো হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে টি-স্পোর্টস চ্যানেলে।

উল্লেখ্য, এই সফরে সদ্যই জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের লজ্জা পায় বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি ফেভারিট ফরম্যাট নয় বাংলাদেশের। তারপরও আশা করা হয়েছিল, টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতবে টাইগাররা। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় জিম্বাবুয়ে। সেই সাথে এই ফরম্যাটে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় জিম্বাবুয়ে।

এই মুহূর্তে ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা দল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নয়টি দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে সাতটিতেই জিতেছে তারা। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা ও ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে দু’টি সিরিজ হারে তারা। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছে টাইগাররা। তাই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের শক্তি স্পষ্ট। জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশ সিরিজ হারলে সেটি হবে বড় ধরনের অঘটন।

২০১৩ সালের পর থেকে জিম্বাবুয়ের কাছে কোনো সিরিজ হারেনি টাইগাররা। ওই বছর ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সব ম্যাচে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৯ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা।

শুক্রবার বাংলাদেশ যখন তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি খেলতে নামবে, তখন তাদের নজর থাকবে জয়ের সংখ্যাটা ২০-এ নেয়া।

এদিকে, সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৭৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫০টিতে জিতেছে টাইগাররা। হেরেছে ২৮টিতে।

কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের ধারাকে কি আটকাতে পারবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করা জিম্বাবুয়ে? প্রশ্নটি অবশ্যই তাড়া করবে বাংলাদেশী ভক্তদের। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সংঘবদ্ধ এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ একটি দল জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারকে অসম্মানজনক বলে অভিহিত করে খেলোয়াড়দের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি জানান, দলের জয়ের জন্য ঝুঁকি নিয়ে না খেলে নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলেছেন তারা।

সুজন বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের কাছে হারব, আমি আশা করিনি। আমরা তাদের চেয়ে ভালো দল। আমি এটাকে অপমানজনক বলব।’

খালেদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘যখন আমাদের প্রতি ওভারে ১০ বা ১২ রানের প্রয়োজন ছিল, ওই সময় প্রতি ওভারে ছয় বা সাত করে রান নিয়েছি। কেউ ছক্কা মারার চেষ্টাও করেনি। সকলেই এক-দুই রানের জন্য খেলেছিল। নিজেদের জায়গা রক্ষা করার মতো ব্যাটিং করেছিল তারা।’

এদিকে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ওয়ানডে সিরিজে নামছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু কেমন হবে ওয়ানডে একাদশ! দেখে নেয়া যাক এক নজরে।

বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য):
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেট রক্ষক), এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসাইন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।

জিম্বাবুয়ে দল:
রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), তানাকা চিভাঙ্গা, লুক জংওয়ে, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধভের, তাদিওয়ানশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিয়োঙ্গা, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়াউচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও শিন উইলিয়ামস।