সংগঠিতভাবে করোনা মোকাবিলা করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

  • Update Time : ০৯:৩৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • / 179

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা মোকাবিলায় কেবিনেটের নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনে মাঠ প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। জনসাধারণ যেন এ সময়ে ঘরে থাকে এবং মাস্ক পরিধান করে তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘করোনা মোকাবেলা এবং লকডাউনে হাসপাতাল ও রোগী ব্যবস্থাপনায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে- ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। ভলান্টিয়ারগণ ও দলের নেতাকর্মীরা জনগণকে বুঝিয়ে করোনা সচেতন করবেন। লক্ষণ ছাড়াও অনেকে ভাইরাস বহন করছেন সে কারনে জনসাধারনের ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, সংগঠিতভাবে করোনা মোকাবিলা করতে হবে । সর্বস্তরের জনসাধারনের সহযোগিতা নিয়ে এ কঠিন সময় অতিক্রম করতে হবে। মানবতার সেবায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। এসময় তিনি মানুষের সেবার জন্য প্রশাসন ও দলের নেতাকর্মীদের আত্মনিয়োগের আহবান জানান।

জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশীদ এর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশের বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে অভিমত ও পরামর্শ ব্যক্ত করেন।

করোনা প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, সকলকে ভ্যাকসিন দেয়ার আগ পর্যন্ত মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই সবচেয়ে সঠিক পন্থা। গ্রামের মানুষ মাস্ক পরতে চায় না। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো ও মাস্ক পরানো চ্যালেঞ্জিং হলেও সকলের প্রচেষ্টায় এটা বাস্তবায়ন দরকার।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, করোনা মোকাবিলায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। জনপ্রতিনিধি ও মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

স্বাধীনতা চিকৎসক পরিষদের নওগাঁ জেলা সভাপতি প্রফেসর ডা. আসেক হোসেন বলেন, করোনা এখন কমিউনিটি সংক্রমণ পর্যায়ে রয়েছে। রোগীর করোনা সনাক্ত হলে তার দ্রুত চিকৎসা শুরু করতে হবে। বাজার ও মসজিদে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, মো: ছলিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,জেলা পরিষদের প্রশাসক, জেলা বনিক সমিতির সভাপতি, প্রেসক্লাবের সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ বক্তৃতা করেন। বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভলান্টিয়ারগণ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার সিভিল সার্জন জানান এ পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ৩শত পঞ্চাশ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৬ জন। শুধু জুন মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ২০৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের।

Please Share This Post in Your Social Media


সংগঠিতভাবে করোনা মোকাবিলা করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

Update Time : ০৯:৩৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা মোকাবিলায় কেবিনেটের নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনে মাঠ প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। জনসাধারণ যেন এ সময়ে ঘরে থাকে এবং মাস্ক পরিধান করে তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘করোনা মোকাবেলা এবং লকডাউনে হাসপাতাল ও রোগী ব্যবস্থাপনায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে- ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। ভলান্টিয়ারগণ ও দলের নেতাকর্মীরা জনগণকে বুঝিয়ে করোনা সচেতন করবেন। লক্ষণ ছাড়াও অনেকে ভাইরাস বহন করছেন সে কারনে জনসাধারনের ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, সংগঠিতভাবে করোনা মোকাবিলা করতে হবে । সর্বস্তরের জনসাধারনের সহযোগিতা নিয়ে এ কঠিন সময় অতিক্রম করতে হবে। মানবতার সেবায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। এসময় তিনি মানুষের সেবার জন্য প্রশাসন ও দলের নেতাকর্মীদের আত্মনিয়োগের আহবান জানান।

জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশীদ এর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশের বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে অভিমত ও পরামর্শ ব্যক্ত করেন।

করোনা প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, সকলকে ভ্যাকসিন দেয়ার আগ পর্যন্ত মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই সবচেয়ে সঠিক পন্থা। গ্রামের মানুষ মাস্ক পরতে চায় না। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো ও মাস্ক পরানো চ্যালেঞ্জিং হলেও সকলের প্রচেষ্টায় এটা বাস্তবায়ন দরকার।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, করোনা মোকাবিলায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। জনপ্রতিনিধি ও মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

স্বাধীনতা চিকৎসক পরিষদের নওগাঁ জেলা সভাপতি প্রফেসর ডা. আসেক হোসেন বলেন, করোনা এখন কমিউনিটি সংক্রমণ পর্যায়ে রয়েছে। রোগীর করোনা সনাক্ত হলে তার দ্রুত চিকৎসা শুরু করতে হবে। বাজার ও মসজিদে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, মো: ছলিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,জেলা পরিষদের প্রশাসক, জেলা বনিক সমিতির সভাপতি, প্রেসক্লাবের সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ বক্তৃতা করেন। বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভলান্টিয়ারগণ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার সিভিল সার্জন জানান এ পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ৩শত পঞ্চাশ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৬ জন। শুধু জুন মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ২০৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের।