মসজিদে ২০ জন নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়

  • Update Time : ০২:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
  • / 181

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এক মসজিদে সবোর্চ্চ ২০ জন নিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন মুসল্লি ও ইসলামি চিন্তাবিদরা। মসজিদের আয়তন অনুসারে জামাতে মুসল্লির সংখ্যা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে ইসলামি চিন্তাবিদরা এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

করোনা অতিমারির ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলাকালীন মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত ও তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ও মুসল্লিসহ সর্বোচ্চ ২০ জন একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে বলে নির্দেশনা জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মুসল্লিদের দাবি, ঢালাওভাবে এমন সিদ্ধান্তে জামাতে নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। মুসুল্লিরা বলছেন, মসজিদের ধারণক্ষমতা বিবেচনা না করে সব আয়তনের মসজিদের জন্য মুসল্লির একই সংখ্যা নির্ধারণ করা গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক মসজিদে পর্যাপ্ত জায়গা থাকার পরও নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

এ প্রসঙ্গে মুসল্লিরা বলেন, রমজান মাসে মানুষ তো মসজিদে আসবেই। সেখানে ২০ জনের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। কোন ২০ জন নামাজ পড়বে এ নিয়ে মারামারিও লেগে যাচ্ছে অনেক সময়। সবাই মাস্ক নিয়ে নামাজ পরবে এই নিয়ম করে দিলেই সবচেয়ে বেশি ভাল হতো।

মসজিদের আয়তন অনুসারে মুসল্লির সংখ্যা নির্ধারণের দাবি তাদের।

তারা বলেন, ৩ ফুট দূরুত্বে নামাজ পরা আর মসজিদের আয়তন অনুযায়ী সংখ্যা নির্ধারণ করাটাই বেশি ভাল হতো। এভাবেই আমাদেরকে নামাজ পড়তে দেওয়া উচিত।

ইসলামি চিন্তাবিদরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয় দাবি করে তা পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

ইসলামি চিন্তাবিদ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়। সব মসজিদের আয়তন সমান নয়। বাইতুল মোকাররমে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। চাইলে স্বাস্থবিধি মেনে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে দেওয়া যেতে পারে। এটা আরও আলোচনা করা উচিত ছিল।

এছাড়া রমজানে রোজাদারদের ইবাদতে আগ্রহের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি মুসল্লি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের।

Please Share This Post in Your Social Media


মসজিদে ২০ জন নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়

Update Time : ০২:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এক মসজিদে সবোর্চ্চ ২০ জন নিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন মুসল্লি ও ইসলামি চিন্তাবিদরা। মসজিদের আয়তন অনুসারে জামাতে মুসল্লির সংখ্যা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে ইসলামি চিন্তাবিদরা এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

করোনা অতিমারির ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলাকালীন মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত ও তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ও মুসল্লিসহ সর্বোচ্চ ২০ জন একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে বলে নির্দেশনা জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মুসল্লিদের দাবি, ঢালাওভাবে এমন সিদ্ধান্তে জামাতে নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। মুসুল্লিরা বলছেন, মসজিদের ধারণক্ষমতা বিবেচনা না করে সব আয়তনের মসজিদের জন্য মুসল্লির একই সংখ্যা নির্ধারণ করা গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক মসজিদে পর্যাপ্ত জায়গা থাকার পরও নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

এ প্রসঙ্গে মুসল্লিরা বলেন, রমজান মাসে মানুষ তো মসজিদে আসবেই। সেখানে ২০ জনের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। কোন ২০ জন নামাজ পড়বে এ নিয়ে মারামারিও লেগে যাচ্ছে অনেক সময়। সবাই মাস্ক নিয়ে নামাজ পরবে এই নিয়ম করে দিলেই সবচেয়ে বেশি ভাল হতো।

মসজিদের আয়তন অনুসারে মুসল্লির সংখ্যা নির্ধারণের দাবি তাদের।

তারা বলেন, ৩ ফুট দূরুত্বে নামাজ পরা আর মসজিদের আয়তন অনুযায়ী সংখ্যা নির্ধারণ করাটাই বেশি ভাল হতো। এভাবেই আমাদেরকে নামাজ পড়তে দেওয়া উচিত।

ইসলামি চিন্তাবিদরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয় দাবি করে তা পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

ইসলামি চিন্তাবিদ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়। সব মসজিদের আয়তন সমান নয়। বাইতুল মোকাররমে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। চাইলে স্বাস্থবিধি মেনে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে দেওয়া যেতে পারে। এটা আরও আলোচনা করা উচিত ছিল।

এছাড়া রমজানে রোজাদারদের ইবাদতে আগ্রহের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি মুসল্লি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের।