বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের প্রতি সুজিত রায় নন্দীর বিনম্র শ্রদ্ধা

  • Update Time : ০৯:৫০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 91

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। জাতি অশ্রুসিক্ত হয়েছিল রক্তাক্ত এক ইতিহাসে।

১৯৭১ সালের ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে জাতি যখন বিজয়ের দ্বার প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঠিক তখনই জাতিকে মেধাশূন্য মেরুদন্ডহীন জাতি হিসেবে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, গুণীজনদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল তাদের পরাজয় অনিবার্য। তাই বাঙালি জাতি, যাতে বীরের জাতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, মেরুদণ্ডহীন জাতি হিসেবে সারাজীবন বেঁচে থাকে সেজন্যই বাঙালি জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করে দেয়। ফলে জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। জাতির জন্য যা ছিল এক অপূরণীয় ক্ষতি। বুদ্ধিজীবীরা দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং অগ্রগতির রূপকার। তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড, উদার ও গণতান্ত্রিক চিন্তাচেতনা জাতীয় অগ্রগতির সহায়ক। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত দেশের বুদ্ধিজীবীরা তাদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ প্রদানসহ বুদ্ধিবৃত্তিক অসাম্প্রদায়িক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে বিপুল অবদান রাখেন।

স্বাধীনতাবিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। ঠিক এর দুইদিন পরেই ১৬ই ডিসেম্বর ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা বোনদের সম্ভ্রামের বিনিময় ও শহীদদের এই মহান আত্মত্যাগে বাঙালি জাতি দীর্ঘদিনের শৃংখল ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পায় একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত আমাদের বুদ্ধিজীবীরা মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগের এই ঋণ কখনোই শোধ করার নয়। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেভাবে তারা বিশ্বে আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জাতি চিরদিন তাঁদের এই আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে জাতির নতুন ও আগামীর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক সত্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,শহীদ বুদ্ধিজীবী,৩০ লক্ষ শহীদ,২ লক্ষ মা বোনসহ জাতীয় চার নেতাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
সুজিত রায় নন্দী
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

Please Share This Post in Your Social Media


বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের প্রতি সুজিত রায় নন্দীর বিনম্র শ্রদ্ধা

Update Time : ০৯:৫০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। জাতি অশ্রুসিক্ত হয়েছিল রক্তাক্ত এক ইতিহাসে।

১৯৭১ সালের ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে জাতি যখন বিজয়ের দ্বার প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঠিক তখনই জাতিকে মেধাশূন্য মেরুদন্ডহীন জাতি হিসেবে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, গুণীজনদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল তাদের পরাজয় অনিবার্য। তাই বাঙালি জাতি, যাতে বীরের জাতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, মেরুদণ্ডহীন জাতি হিসেবে সারাজীবন বেঁচে থাকে সেজন্যই বাঙালি জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করে দেয়। ফলে জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। জাতির জন্য যা ছিল এক অপূরণীয় ক্ষতি। বুদ্ধিজীবীরা দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং অগ্রগতির রূপকার। তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড, উদার ও গণতান্ত্রিক চিন্তাচেতনা জাতীয় অগ্রগতির সহায়ক। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত দেশের বুদ্ধিজীবীরা তাদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ প্রদানসহ বুদ্ধিবৃত্তিক অসাম্প্রদায়িক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে বিপুল অবদান রাখেন।

স্বাধীনতাবিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। ঠিক এর দুইদিন পরেই ১৬ই ডিসেম্বর ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা বোনদের সম্ভ্রামের বিনিময় ও শহীদদের এই মহান আত্মত্যাগে বাঙালি জাতি দীর্ঘদিনের শৃংখল ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পায় একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত আমাদের বুদ্ধিজীবীরা মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগের এই ঋণ কখনোই শোধ করার নয়। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেভাবে তারা বিশ্বে আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জাতি চিরদিন তাঁদের এই আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে জাতির নতুন ও আগামীর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক সত্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,শহীদ বুদ্ধিজীবী,৩০ লক্ষ শহীদ,২ লক্ষ মা বোনসহ জাতীয় চার নেতাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
সুজিত রায় নন্দী
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।