মিরসরাইয়ে মহান বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

  • Update Time : ০৭:১৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • / 69

মিরসরাই(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

মহান স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান মিরসরাই উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়, প্রধান অতিথী আসন অলংকিত করেছেন মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন,আরো উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাবা মাহফুজা জেরিন,মিরসরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা ফেন্সি এবং বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, জাতির জীবনে স্বরনীয় দিন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা, এই দিনে জাতি স্মরণ করছে বীর শহীদদের।স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস।পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেওয়ার ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। প্রতিবছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে দিবসটি উদযাপন করে গোটা জাতি। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী দেশের বীর সন্তানদের। শ্রদ্ধা জানায়, মহান স্বাধীনতার রূপকার বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতা, নৃশংস গণহত্যার শিকার লাখো সাধারণ মানুষ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতি। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করা হয় দিনটি। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে জন্ম নেয়, ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র। কিন্তু ভারতের পশ্চিমে অবস্থিত পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব দিকের ভূখণ্ড তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মধ্যে বৈরিতার হাওয়া দেখা যাচ্ছিল শুরু থেকেই। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী পশ্চিম পাকিস্তান ভাষাসহ চাকরি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূর্ব-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈষম্যের আচরণ করতে থাকে- যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে একটা অনিবার্য সংঘাতের দিকে মোড় নেয় পরিস্থিতি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালায় ও গ্রেপ্তার করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার শেখ মুজিবুর রহমানকে। তবে গ্রেপ্তারের কিছু আগেই ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।এটাই আপনাদের প্রতি আমার অর্পিত দায়িত্ব।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মিরসরাইয়ে মহান বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

Update Time : ০৭:১৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

মিরসরাই(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

মহান স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান মিরসরাই উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়, প্রধান অতিথী আসন অলংকিত করেছেন মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন,আরো উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাবা মাহফুজা জেরিন,মিরসরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা ফেন্সি এবং বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, জাতির জীবনে স্বরনীয় দিন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা, এই দিনে জাতি স্মরণ করছে বীর শহীদদের।স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস।পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেওয়ার ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। প্রতিবছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে দিবসটি উদযাপন করে গোটা জাতি। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী দেশের বীর সন্তানদের। শ্রদ্ধা জানায়, মহান স্বাধীনতার রূপকার বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতা, নৃশংস গণহত্যার শিকার লাখো সাধারণ মানুষ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতি। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করা হয় দিনটি। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে জন্ম নেয়, ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র। কিন্তু ভারতের পশ্চিমে অবস্থিত পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব দিকের ভূখণ্ড তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মধ্যে বৈরিতার হাওয়া দেখা যাচ্ছিল শুরু থেকেই। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী পশ্চিম পাকিস্তান ভাষাসহ চাকরি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূর্ব-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈষম্যের আচরণ করতে থাকে- যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে একটা অনিবার্য সংঘাতের দিকে মোড় নেয় পরিস্থিতি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালায় ও গ্রেপ্তার করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার শেখ মুজিবুর রহমানকে। তবে গ্রেপ্তারের কিছু আগেই ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।এটাই আপনাদের প্রতি আমার অর্পিত দায়িত্ব।