অবশেষে রাণীশংকৈল মডেল সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষককে বদলি
- Update Time : ১২:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
- / 101
হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ
প্রায় তিন মাস ধরে অনেক ঘটনা-রটনার মধ্য দিয়ে অবশেষে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হওয়া ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে।
গত সোমবার (১৮ মার্চ) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনছুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই ৪ শিক্ষককে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। আগামী ২১ মার্চের মধ্যে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে যোগদান করতে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দিন ১৮ মার্চ রাত ৯ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বদলি হওয়া ৪ শিক্ষকের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছেলিমা সিদ্দিকাকে রাউতনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, সহকারি শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথকে নেকমরদ ফরিদপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, আয়েশা খাতুনকে নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং আবুল কালাম আজাদকে নেকমরদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। অপরদিকে উপজেলার অন্য ৪ সহকারী শিক্ষককে ডেপুটেশনের ভিত্তিতে রাণীশংকৈল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। এসব শিক্ষকরা হলেন, বলঞ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আব্দুল কাদের,
মহেষপুর টেকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোছাঃ মারুফা কামাল, আমজুয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. কামাল হোসেন ও পাটগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোছা.বেলি খাতুন।
প্রসঙ্গত: ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছেলিমা সিদ্দিকা
সহ কযেকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি না করা, কোচিং বাণিজ্য, শিক্ষক দ্বন্দ্ব, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। এনিয়ে ওই বিদ্যালয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটে, যার একটি ভিডিও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর দু’পক্ষের অভিযোগ ইউএনও, জেলা শিক্ষা অফিসার ও থানা পর্যন্ত পৌঁছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এ বদলির আদেশ দেন। এদিকে বদলিকৃত ওই শিক্ষকদের মধ্যে দু’জন শিক্ষক বদলি আদেশের চিঠি ১৯ মার্চ সকাল পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ মার্চ অফিস চলাকালীন চিঠি গ্রহণ না করলে, তারা অটো বদলি হয়ে যাবে। এবং ২১ মার্চের মধ্যে চিঠিতে উল্লেখকৃত স্কুলে যোগদান না করলে তাদের বিরুদ্ধ বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে কয়েকজন অভিভাবকের সাথে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একটি বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এনিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ৪ জন শিক্ষককের বদলির আদেশ দিয়েছন।