কুমিল্লায় শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দিলেন শিক্ষিকা! উত্তাল কুমিল্লা নার্সিং কলেজ

  • Update Time : ০৭:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 69

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ

কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের তিন শিক্ষার্থীদের হিজাব কেটে দিয়েছেন অত্র কলেজেরই সিনিয়র শিক্ষিকা মিরন নাহার। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় বুধবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবিতে নানান শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে কেম্পাস প্রাঙ্গণ। তবে ঘটনার পরপরই দুঃখ প্রকাশ করেন শিক্ষিকা মিরন নাহার।

শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারী কুমিল্লা নার্সিং কলেজের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দিয়েছেন আমাদের নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরন নাহার। পরে, শিক্ষার্থীদেরকে হিজাব কেটে ছোট করে পড়ার কথা বললে শিক্ষার্থীরা এতে দ্বিমত পোষণ করেন। কিন্তু, ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের কোনো কথার তোয়াক্কা না করেই বারবার হিজাব কাটার কথা বলেন ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, এভাবে যদি আমাদের হিজাব কেটে পড়তে বলা হয়, বা কেটে ফেলা হয় তাহলে আমি বলব মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়। ক্যাম্পাসে আমাদের শালীনতা কিভাবে আমরা বজায় রাখবো।

আরেক শিক্ষার্থী মৌরী রহমান বলেন, আমাদের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় বর্ষ এবং তৃতীয় বর্ষ শিক্ষার্থীদের কে বেল্ট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তাই আমরা মেয়েরা যারা হিজাব বড় করে পড়ি তাদের বেল্ট দেখা যায় না। তাই আমাদের হিজাব কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি বলব বেল্ট দ্বারাই কেন চিহ্নিত করতে হবে, অন্য কোন উপায়ও তো এটা করা যায়। আমি আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই। মেয়েরা যাতে শালীনভাবে চলাফেরা করতে পারে এটা চাই।
৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আকতার বলেন, আমাদের এই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরন নাহার বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমার এটি করা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে আমি অনুতপ্ত। শিক্ষার্থীদের কে নিয়মের মধ্যে আনার জন্য আমি এটি করেছিলাম। তবে হিজাব কেটে দেওয়া বা কাচী হাতে নেওয়া আমার উচিত হয়নি। আমি দ্রুতই আমাদের শিক্ষকদেরকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টির একটি সুষ্ঠু সমাধান করব।

তবে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানমকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করল তাকে পাওয়া যায়নি

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লায় শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দিলেন শিক্ষিকা! উত্তাল কুমিল্লা নার্সিং কলেজ

Update Time : ০৭:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ

কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের তিন শিক্ষার্থীদের হিজাব কেটে দিয়েছেন অত্র কলেজেরই সিনিয়র শিক্ষিকা মিরন নাহার। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় বুধবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবিতে নানান শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে কেম্পাস প্রাঙ্গণ। তবে ঘটনার পরপরই দুঃখ প্রকাশ করেন শিক্ষিকা মিরন নাহার।

শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারী কুমিল্লা নার্সিং কলেজের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দিয়েছেন আমাদের নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরন নাহার। পরে, শিক্ষার্থীদেরকে হিজাব কেটে ছোট করে পড়ার কথা বললে শিক্ষার্থীরা এতে দ্বিমত পোষণ করেন। কিন্তু, ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের কোনো কথার তোয়াক্কা না করেই বারবার হিজাব কাটার কথা বলেন ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, এভাবে যদি আমাদের হিজাব কেটে পড়তে বলা হয়, বা কেটে ফেলা হয় তাহলে আমি বলব মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়। ক্যাম্পাসে আমাদের শালীনতা কিভাবে আমরা বজায় রাখবো।

আরেক শিক্ষার্থী মৌরী রহমান বলেন, আমাদের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় বর্ষ এবং তৃতীয় বর্ষ শিক্ষার্থীদের কে বেল্ট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তাই আমরা মেয়েরা যারা হিজাব বড় করে পড়ি তাদের বেল্ট দেখা যায় না। তাই আমাদের হিজাব কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি বলব বেল্ট দ্বারাই কেন চিহ্নিত করতে হবে, অন্য কোন উপায়ও তো এটা করা যায়। আমি আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই। মেয়েরা যাতে শালীনভাবে চলাফেরা করতে পারে এটা চাই।
৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আকতার বলেন, আমাদের এই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরন নাহার বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমার এটি করা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে আমি অনুতপ্ত। শিক্ষার্থীদের কে নিয়মের মধ্যে আনার জন্য আমি এটি করেছিলাম। তবে হিজাব কেটে দেওয়া বা কাচী হাতে নেওয়া আমার উচিত হয়নি। আমি দ্রুতই আমাদের শিক্ষকদেরকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টির একটি সুষ্ঠু সমাধান করব।

তবে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানমকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করল তাকে পাওয়া যায়নি