নীলফামারীর ৪ আসনে নৌকা ২ অন্যান্য ২
- Update Time : ০৩:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪
- / 145
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর ৪টি সংসদীয় আসনের ২টিতে বাংলাদেশ আ’লীগ মনোনীত নৌকা ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
সংসদীয় আসন ১২, নীলফামারী -১ (ডোমার- ডিমলা) আসনে আ’লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯ শত ২ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লেঃ কর্ণেল তছলিম উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬ শত ৬১ ভোট। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৭ প্রার্থী।
সংসদীয় আসন ১৩, নীলফামারী- ২ ( নীলফামারী সদর) আসনে বাংলাদেশ আ’লীগ মনোনীত ও সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৩শত ৩৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। এবারসহ তিনি টানা ৬ বার এমপি নির্বাচিত হলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ট্রাক প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬ শত ৮৪ ভোট।
সংসদীয় আসন ১৪, নীলফামারী -৩ ( জলঢাকা – কিশোরগঞ্জের আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়ছিলেন। এ আসনে আ’লীগ মনোনীত কোন প্রার্থী ছিল না। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করেন আ’লীগের সাবেক এমপির সহধর্মিণী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহসভাপতি মার্ জিয়া সুলতানা, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল এবং জাতীয় পার্টির সাবেক এমপির ছেলে কাজী ফারুক কাদের।
এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল কাঁচি প্রতীক নিয়ে ৩৯ হাজার ৩ শত ২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্ জিয়া সুলতানা ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ২ শত ৫ ভোট এবং জাতীয় পার্টির রানা মোহাম্মদ সোহেল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২ শত ২৮ ভোট।
সংসদীয় আসন ১৫, নীলফামারী -৪ ( সৈয়দপুর – কিশোরগঞ্জের আংশিক) । এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখানে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ভাগিনা আহসান আদেলুর রহমান আদেল। আওয়ামীলীগ মনোনীত কোন প্রার্থী না থাকলেও স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করেছেন জাতীয় পার্টির জেলা সহ সভাপতি ( পরবর্তীতে বহিস্কৃত) ছিদ্দিকুল আলম ছিদ্দিক এবং সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন।
এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিদ্দিকুল আলম ছিদ্দিক কাঁচি প্রতীক নিয়ে ৬৯ হাজার ৭ শত ১৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন ট্রাক প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩ শত ১ ভোট এবং বর্তমান এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেল লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩ শত ১৩ ভোট।