কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মহান বিজয় দিবস পালিত

  • Update Time : ১০:১৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 238

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ –

১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্নত্যাগ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানমের নেতৃত্বে উপজেলার সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও আত্নদানকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে উপজেলা মাঠে শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে উপজেলা অডিটরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার প্রদান করা হয়। নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।

বক্তব্যে আলোচকরা বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্নত্যাগ এবং ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি এই মহান স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব, নিরক্ষরতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ধর্মীয় কুসংস্কার, মাদক ও শোষণমুক্ত একটি সুখী সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের এই আত্নত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে যদি আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়তে না পারি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মহান বিজয় দিবস পালিত

Update Time : ১০:১৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ –

১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্নত্যাগ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানমের নেতৃত্বে উপজেলার সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও আত্নদানকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে উপজেলা মাঠে শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে উপজেলা অডিটরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার প্রদান করা হয়। নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।

বক্তব্যে আলোচকরা বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্নত্যাগ এবং ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি এই মহান স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব, নিরক্ষরতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ধর্মীয় কুসংস্কার, মাদক ও শোষণমুক্ত একটি সুখী সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের এই আত্নত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে যদি আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়তে না পারি।