যুবলীগ নেতাকে হত্যা, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন ডিসি-এসপি

  • Update Time : ০৩:০১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / 140

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হাত-পায়ের রগ কেটে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল ও জেলা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের সাঁকা মারা ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা।

এসময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান, সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঘটনার পর পরই আমরা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারকৃতদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছি। একইসাথে আমরা হত্যার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। আশা করছি অতিদ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার সম্ভব হবে।

গতকাল রোববার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল এবং কবির মিয়া মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় এলে ৭-৮ জন তাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়।

এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এরমধ্যে জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মৃত্যু হয় তার।

নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


যুবলীগ নেতাকে হত্যা, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন ডিসি-এসপি

Update Time : ০৩:০১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হাত-পায়ের রগ কেটে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল ও জেলা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের সাঁকা মারা ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা।

এসময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান, সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঘটনার পর পরই আমরা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারকৃতদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছি। একইসাথে আমরা হত্যার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। আশা করছি অতিদ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার সম্ভব হবে।

গতকাল রোববার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল এবং কবির মিয়া মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় এলে ৭-৮ জন তাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়।

এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এরমধ্যে জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মৃত্যু হয় তার।

নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।