চৌহালীতে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গন হুমকিতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • Update Time : ০২:৩৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 220

মোঃ ইমরুল হাসান (চৌহালী- সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

যমুনায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভূতের মোড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। ইতিমধ্যেই ঘর-বাড়ি ফসলি জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ।
কোন ক্রমেই থামছে না নদী ভাঙ্গন।
হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার কলেজ, দাখিল মাদ্রাসা, পয়লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ৮টি সপ্রাবি, ১টি কবরস্থান, ৫টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক স্থাপনা।

যমুনা নদী থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দূরত্ব সর্বোচ্চ ৮০মিটার ও সর্বনিম্ন ১৫ মিটার।

স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙ্গনে রোধে স্থায়ী কোন উদ্যোগ না হলে যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

হতাশায় পড়েছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগন, শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী।

জানাযায় এক সপ্তাহ ধরে পাউবো জরুরীভাবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করলেও কোনভাবেই থামছে না ভাঙ্গন। গত কয়েক মাসেই নদী ভাঙ্গনে বিলীত হয়েছে চরসলিমাবাদ, বিনানুই, দেওয়ানগঞ্জ, মিটুয়ানী এলাকার গ্রামের হাজারো ঘর-বাড়ি,ফসলি জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভূতের মোড়ে রাস্তার পাশের প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পাকা রাস্তাসহ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

চৌবারিয়া শিকদারপাড়া বিএম কলেজ অধ্যক্ষ একেএম মুশফিকুল হক জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীর ভাঙ্গন না ঠেকালে প্রায় সতেরোটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের পূর্বে আমাদের উপজেলার কোন যায়গায় নেই। এখন যমুনার চরে কলেজ নিয়ে গেলে পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের মাধ্যমে পাউবো সিরাজগঞ্জ কে জানানো হয়েছে।

নদী ভাঙ্গন বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। যা আপনারা সকলেই জানেন। যমুনা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে যা করা প্রয়োজন, তা আমরা করবো। ইনশাআল্লাহ ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান জানান,ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই ভাঙ্গন এলাকায় ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চৌহালীতে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গন হুমকিতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

Update Time : ০২:৩৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোঃ ইমরুল হাসান (চৌহালী- সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

যমুনায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভূতের মোড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। ইতিমধ্যেই ঘর-বাড়ি ফসলি জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ।
কোন ক্রমেই থামছে না নদী ভাঙ্গন।
হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার কলেজ, দাখিল মাদ্রাসা, পয়লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ৮টি সপ্রাবি, ১টি কবরস্থান, ৫টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক স্থাপনা।

যমুনা নদী থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দূরত্ব সর্বোচ্চ ৮০মিটার ও সর্বনিম্ন ১৫ মিটার।

স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙ্গনে রোধে স্থায়ী কোন উদ্যোগ না হলে যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

হতাশায় পড়েছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগন, শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী।

জানাযায় এক সপ্তাহ ধরে পাউবো জরুরীভাবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করলেও কোনভাবেই থামছে না ভাঙ্গন। গত কয়েক মাসেই নদী ভাঙ্গনে বিলীত হয়েছে চরসলিমাবাদ, বিনানুই, দেওয়ানগঞ্জ, মিটুয়ানী এলাকার গ্রামের হাজারো ঘর-বাড়ি,ফসলি জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভূতের মোড়ে রাস্তার পাশের প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পাকা রাস্তাসহ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

চৌবারিয়া শিকদারপাড়া বিএম কলেজ অধ্যক্ষ একেএম মুশফিকুল হক জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীর ভাঙ্গন না ঠেকালে প্রায় সতেরোটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের পূর্বে আমাদের উপজেলার কোন যায়গায় নেই। এখন যমুনার চরে কলেজ নিয়ে গেলে পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের মাধ্যমে পাউবো সিরাজগঞ্জ কে জানানো হয়েছে।

নদী ভাঙ্গন বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। যা আপনারা সকলেই জানেন। যমুনা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে যা করা প্রয়োজন, তা আমরা করবো। ইনশাআল্লাহ ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান জানান,ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই ভাঙ্গন এলাকায় ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হবে।