রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

রিট পিটিশন মামলায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সবচেয়ে বড় আবাদপুকুর হাট ও দৈনিক বাজারের ইজারা স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার ইজারার দরপত্র দাখিলের দিন নির্ধারণ থাকলেও রিট পিটিশনের জটিলতার কারনে ইজারা স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্টরা। এর আগে গত ১৪২৯ বাংলা সনে আবাদপুকুর হাট এক বছরের জন্য প্রায় ৮০ লাখ টাকায় ইজারা হয়েছিল। আগামী ১৪৩০ বাংলা সনের জন্য ৮১ লাখ ৭৮ হাজার ৬০৭ টাকা সরকারি ইজারা মূল্য ধরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা রিট পিটিশন মামলার বেড়াজালে বড় এই হাটটি ইজারা না হওয়ায় সরকার প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব হারাতে বসেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাংলা ১৪৩০ সনের জন্য উপজেলার আবাদপুকুর হাট ও দৈনিক বাজারসহ মোট ১৬ টি হাট ও দৈনিক বাজার ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ১৬ টি হাট ও দৈনিক বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বড় আবাদপুকুর হাট ও দৈনিক বাজার। এরই মধ্যে হঠাৎ করে আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়ের জায়গার উপর বসা গবাদিপশুর হাট বন্ধে সুপ্রিম কোটের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ ইজারা প্রদানের উপর স্থগিতাদেশ দেন। আদেশের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবাদপুকুর হাট ও দৈনিক বাজার ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করে বোর্ডে নোটিশ ঝুলে দেন।

রিট পিটিশন দায়েরকারি উপজেলার আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, আবাদপুকুর হাটের নির্ধারিত জায়গার বাহিরে আমাদের বিদ্যালয়ের জায়গার উপর গবাদিপশুসহ বেশ কিছু পন্য ক্রয়-বিক্রয়ের হাট বসে। ফলে বিদ্যালয়ের সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিদ্যালয়ের জায়গায় যেন হাট বসানো না হয়, সে জন্য মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, আবাদপুকুর হাটের পেরিফেরি জায়গার বাহিরে বিদ্যালয়ের জায়গার উপর বৃহৎ গবাদিপশুর হাট বসে। ওই জায়গার উপর হাট বসানো বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রিট পিটিশন মামলা করেছে। আমরা ইজারা প্রদানের উপর স্থগিতাদেশ পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, গবাদিপশুর হাট বাদ দিয়ে ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না জন্যে ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে রিট পিটিশন মামলাটি নিস্পত্তি হলে ইজারার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।