কুমিল্লায় ৬ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মানসিক প্রতিবন্ধী মিলা

  • Update Time : ০৮:০১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 175

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ,কুমিল্লাঃ

কুমিল্লার হোমনায় ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মিলা আক্তার (১৩) নামে এক মানসিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

আশেপাশের লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ গেট সংলগ্ন সিটি মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

সে উপজেলা সদরের খাদিজা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ছিল। মিলা উপজেলার মহিষমারী গ্রামের মিজান সরকারের মেয়ে।

জানা যায়, তার মা মরিয়ম এ বিল্ডিংয়ে অবস্থিত একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সেবিকার চাকুরি করেন। এর ওপর তলায় তাদের বাসা ছিল। সে কারণেই মিলা দুপুরে ছাদে যায় এবং সেখান থেকে লফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে।

তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নজরুল ইসলাম বলেন, মিলা মাঝেমধ্যে এলোমেলো কথাবার্তা বলত। পরিচতজনদের মতে তার চিকিৎসা চলছিল এবং সে চুপচাপ থাকত মাঝেমধ্যে খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ত।

তার ফুফাতো ভাই হাবিবুর রহমান জানান, মিলা জন্মগতভাবেই মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন। সে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী ভাতাও পায়। এর আগেও সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাদলুল আজিম আবরার বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে- হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ছাদ থেকে পড়ার কারণে তার থুতনী ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। সে মানসিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিল। তাকে চিকিৎসাও করানো হচ্ছিল। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সে ভাতাও পেত। পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লায় ৬ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মানসিক প্রতিবন্ধী মিলা

Update Time : ০৮:০১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ,কুমিল্লাঃ

কুমিল্লার হোমনায় ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মিলা আক্তার (১৩) নামে এক মানসিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

আশেপাশের লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ গেট সংলগ্ন সিটি মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

সে উপজেলা সদরের খাদিজা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ছিল। মিলা উপজেলার মহিষমারী গ্রামের মিজান সরকারের মেয়ে।

জানা যায়, তার মা মরিয়ম এ বিল্ডিংয়ে অবস্থিত একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সেবিকার চাকুরি করেন। এর ওপর তলায় তাদের বাসা ছিল। সে কারণেই মিলা দুপুরে ছাদে যায় এবং সেখান থেকে লফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে।

তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নজরুল ইসলাম বলেন, মিলা মাঝেমধ্যে এলোমেলো কথাবার্তা বলত। পরিচতজনদের মতে তার চিকিৎসা চলছিল এবং সে চুপচাপ থাকত মাঝেমধ্যে খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ত।

তার ফুফাতো ভাই হাবিবুর রহমান জানান, মিলা জন্মগতভাবেই মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। তাকে ঢাকায় চিকিৎসা করানো হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন। সে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী ভাতাও পায়। এর আগেও সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাদলুল আজিম আবরার বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে- হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ছাদ থেকে পড়ার কারণে তার থুতনী ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। সে মানসিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিল। তাকে চিকিৎসাও করানো হচ্ছিল। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সে ভাতাও পেত। পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।