দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও  চা বিক্রি করে সংসার চালান হাফেজে কুরআন ইকবাল

  • Update Time : ১১:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 153

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ,কুমিল্লা

হাফেজে কুরআন ইকবাল হোসেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগে অজানা রোগে হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। অদম্য ইচ্ছায় ও মায়ের অনুপ্রেরণায় হয়েছেন কোরআনে হাফেজ।

ছোটবেলা থেকে পরিবারে অসচ্ছলতা দূর করতে অন্ধত্ব জয় করে হাল ধরেছেন সংসারের। স্বনির্ভর হতে বাড়ির পাশে করেন একটি চা দোকান। এছাড়া  যুক্ত রয়েছেন সমাজিক কাজকর্ম ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে।

স্রোতা হিসাবে পুরষ্কার পেয়েছেন বিবিসি বাংলা ও বাংলাদেশ বেতার থেকে। স্বপ্ন দেখেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার  শশীদল জনপদকে এগিয়ে নিতে।

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রাম। এ এলাকায় বেশ পরিচিতি ইকবাল,এ গ্রামের শিক্ষা বিস্তারে তার বেশ অবদান রয়েছে, আশেপাশের এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় একটি সংগঠন  করেছেন তিনি। সংগঠনের পক্ষ থেকে অসচ্ছল ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার  জন্য আর্থিক সহযোগিতা করছেন তিনি। এছাড়া প্রতি বছর এই গ্রামে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়ে থাকেন তার গড়া সংগঠনটি।

হাফেজ মো. ইকবাল চাচি রহিমা বেগম বলেন,  সাড়ে ৪ বছর বয়সেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চোখের দৃষ্টি হারান। নাইঘর গ্রামে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। বন্ধুদের কাছে শুনে শুনে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন। ছোটবেলা থেকে ছেলেটা সংগ্রাম করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে।

নাগাইশ গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ইকবাল তার  আগ্রহ আর মেধা শক্তি দিয়ে আল্লাহর রহমতে হাফেজে কুরআন হয়েছে। বাড়ির সামনে সে একটা চায়ের দোকান পরিচালনা করে। সে যা পায় তা দিয়ে সংসার চালায়। নিজে রেডিও শোনে, অন্যদের রেডিও শোনার জন্য বলে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও  চা বিক্রি করে সংসার চালান হাফেজে কুরআন ইকবাল

Update Time : ১১:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ,কুমিল্লা

হাফেজে কুরআন ইকবাল হোসেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগে অজানা রোগে হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। অদম্য ইচ্ছায় ও মায়ের অনুপ্রেরণায় হয়েছেন কোরআনে হাফেজ।

ছোটবেলা থেকে পরিবারে অসচ্ছলতা দূর করতে অন্ধত্ব জয় করে হাল ধরেছেন সংসারের। স্বনির্ভর হতে বাড়ির পাশে করেন একটি চা দোকান। এছাড়া  যুক্ত রয়েছেন সমাজিক কাজকর্ম ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে।

স্রোতা হিসাবে পুরষ্কার পেয়েছেন বিবিসি বাংলা ও বাংলাদেশ বেতার থেকে। স্বপ্ন দেখেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার  শশীদল জনপদকে এগিয়ে নিতে।

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রাম। এ এলাকায় বেশ পরিচিতি ইকবাল,এ গ্রামের শিক্ষা বিস্তারে তার বেশ অবদান রয়েছে, আশেপাশের এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় একটি সংগঠন  করেছেন তিনি। সংগঠনের পক্ষ থেকে অসচ্ছল ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার  জন্য আর্থিক সহযোগিতা করছেন তিনি। এছাড়া প্রতি বছর এই গ্রামে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়ে থাকেন তার গড়া সংগঠনটি।

হাফেজ মো. ইকবাল চাচি রহিমা বেগম বলেন,  সাড়ে ৪ বছর বয়সেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চোখের দৃষ্টি হারান। নাইঘর গ্রামে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। বন্ধুদের কাছে শুনে শুনে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন। ছোটবেলা থেকে ছেলেটা সংগ্রাম করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে।

নাগাইশ গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ইকবাল তার  আগ্রহ আর মেধা শক্তি দিয়ে আল্লাহর রহমতে হাফেজে কুরআন হয়েছে। বাড়ির সামনে সে একটা চায়ের দোকান পরিচালনা করে। সে যা পায় তা দিয়ে সংসার চালায়। নিজে রেডিও শোনে, অন্যদের রেডিও শোনার জন্য বলে।