ধর্মঘটে মোংলায় বন্দর-ইপিজেডসহ কারখানার পণ্য পরিবহন বন্ধ

  • Update Time : ১২:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • / 181

মোংলা প্রতিনিধি:

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহণ ভাড়াও বাড়িয়ে নির্ধারণের দাবিতে মোংলায় যাত্রীবাহী বাস এবং পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে মোংলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, মোংলা-খুলনা, মোংলা-বাগেরহাট-বরিশালসহ সব রুটে বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে মালিক-শ্রমিকরা।

যাত্রীবাহী পরিবহনের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলও। মোংলা বন্দরের জেটির সম্মুখে ও দিগরাজ শিল্প এলাকার বিভিন্ন মিল-কলকারখানার সামনে সব সময় শত শত ট্রাকের জটলা থাকলেও শুক্রবার সেসব জায়গা একেবারে ফাঁকা দেখা গেছে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধের কারণে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, এতে তাদেরও খরচ বাড়বে। তাই সরকার পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করে না দেওয়া পর্যন্ত তাদের এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় মোংলা বন্দর জেটি, ইপিজেড ও শিল্প এলাকার তেল, গ্যাস, সিমেন্টসহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরির পণ্য এবং কাঁচামাল পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

মোংলা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ইপিজেডের ফ্যাক্টরিগুলোর কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য মোংলা বন্দর ও বেনাপোল বন্দর দিয়েই পরিবহন হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে পরিবহণ ধর্মঘটের প্রভাব এখানে তো পড়বেই।

Please Share This Post in Your Social Media


ধর্মঘটে মোংলায় বন্দর-ইপিজেডসহ কারখানার পণ্য পরিবহন বন্ধ

Update Time : ১২:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

মোংলা প্রতিনিধি:

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহণ ভাড়াও বাড়িয়ে নির্ধারণের দাবিতে মোংলায় যাত্রীবাহী বাস এবং পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে মোংলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, মোংলা-খুলনা, মোংলা-বাগেরহাট-বরিশালসহ সব রুটে বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে মালিক-শ্রমিকরা।

যাত্রীবাহী পরিবহনের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলও। মোংলা বন্দরের জেটির সম্মুখে ও দিগরাজ শিল্প এলাকার বিভিন্ন মিল-কলকারখানার সামনে সব সময় শত শত ট্রাকের জটলা থাকলেও শুক্রবার সেসব জায়গা একেবারে ফাঁকা দেখা গেছে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধের কারণে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, এতে তাদেরও খরচ বাড়বে। তাই সরকার পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করে না দেওয়া পর্যন্ত তাদের এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় মোংলা বন্দর জেটি, ইপিজেড ও শিল্প এলাকার তেল, গ্যাস, সিমেন্টসহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরির পণ্য এবং কাঁচামাল পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

মোংলা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ইপিজেডের ফ্যাক্টরিগুলোর কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য মোংলা বন্দর ও বেনাপোল বন্দর দিয়েই পরিবহন হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে পরিবহণ ধর্মঘটের প্রভাব এখানে তো পড়বেই।