কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ, ডাক পায়নি জাপা

  • Update Time : ১১:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / 9

রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ ফের সংলাপে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বেলা ৩টা থেকে শুরু হবে এ সংলাপ। এই দফার সংলাপেও ডাক পায়নি বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।

সংলাপে এ দফায় আমন্ত্রণ পেয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), ১২ দলীয় জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও লেবার পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, ‘সংস্কার প্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে আগামী শনিবার সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।’

তবে সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল ও জোটের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে তাদের আলোচনার মূল কেন্দ্র থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ। প্রধান উপদেষ্টার সামনে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবেন তারা। এছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের দলবাজ কর্মকর্তাদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গেও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে দলগুলো।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার, যেখানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) বেশ কয়েকটি বড় দল অংশ নেয়। গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ হয়। এ সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়। তবে এ দফায় এখনো দলটিকে আলোচনায় ডাকা হয়নি। জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির আমন্ত্রণ পাওয়ার জোর গুঞ্জন উঠলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। রংপুরে জাতীয় পার্টির নেতারা সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই শেষ পর্যন্ত সংলাপে ডাক পেল না জাতীয় পার্টি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ, ডাক পায়নি জাপা

Update Time : ১১:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ ফের সংলাপে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বেলা ৩টা থেকে শুরু হবে এ সংলাপ। এই দফার সংলাপেও ডাক পায়নি বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।

সংলাপে এ দফায় আমন্ত্রণ পেয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), ১২ দলীয় জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও লেবার পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, ‘সংস্কার প্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে আগামী শনিবার সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।’

তবে সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল ও জোটের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে তাদের আলোচনার মূল কেন্দ্র থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ। প্রধান উপদেষ্টার সামনে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবেন তারা। এছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের দলবাজ কর্মকর্তাদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গেও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবে দলগুলো।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার, যেখানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) বেশ কয়েকটি বড় দল অংশ নেয়। গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ হয়। এ সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়। তবে এ দফায় এখনো দলটিকে আলোচনায় ডাকা হয়নি। জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির আমন্ত্রণ পাওয়ার জোর গুঞ্জন উঠলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। রংপুরে জাতীয় পার্টির নেতারা সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই শেষ পর্যন্ত সংলাপে ডাক পেল না জাতীয় পার্টি।