অন্ডকোষ ফেটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিচারপতি মানিক, আইসিইউতে ভর্তি

  • Update Time : ১২:০১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / 31

গুরুতর আহত অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দোতলার আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

সিলেটের ডিআইজি (প্রিজন) মো. ছগির মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক বিচারপতি মানিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মারধরে তার শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। একটি অন্ডকোষ ফেটে গেছে। পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করানো হয়। সেখানে দীর্ঘ ৪৫ মিনিট তার বিশেষ অঙ্গে (অণ্ডকোষ) অস্ত্রোপচার করা হয়। তাকে বর্তমানে হাসপাতালের আইসিউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সাবেক বিচারপতির নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। হাসপাতাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বিকালে বিচারপতি মানিককে আদালতে নিয়ে আসা হয় পুলিশের পাহারায়। পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পরপরই কিল-ঘুষি মারার ঘটনা ঘটে। তাকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয় জুতা, ডিম ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে শামসুদ্দিন মানিককে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক আলমগীর হোসেন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাহারায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

আদালতে শুনানিকালে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না বলে পুলিশ জানায়।

সিলেট কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জমশেদ আলম বলেন, বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় কানাইঘাট থানা পুলিশ। ঢাকার বাড্ডা, আদাবর থানাসহ একাধিক থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা থাকায় তাকে থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। পরে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আমরা সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে আসামি সিলেটে আছেন বলে বার্তা পাঠাবো। পরে সংশ্লিষ্ট থানা তাদের মামলায় গ্রেফতার দেখাবে। সাবেক বিচারপতি হিসেবে জেল কোড অনুযায়ী আসামিকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি আদালতকে জানিয়েছেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলকোড অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট (দনা) সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি। সেই রাতে তিনি অভিযোগ করেন, তার কাছে থাকা সবকিছু কেড়ে নিয়ে সীমান্তে একদল লোক তাকে মারধর করেছে।

শনিবার সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং সিআরপিসির ৫৪ ধারায় বিকেলে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media


অন্ডকোষ ফেটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিচারপতি মানিক, আইসিইউতে ভর্তি

Update Time : ১২:০১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

গুরুতর আহত অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দোতলার আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

সিলেটের ডিআইজি (প্রিজন) মো. ছগির মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক বিচারপতি মানিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মারধরে তার শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। একটি অন্ডকোষ ফেটে গেছে। পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করানো হয়। সেখানে দীর্ঘ ৪৫ মিনিট তার বিশেষ অঙ্গে (অণ্ডকোষ) অস্ত্রোপচার করা হয়। তাকে বর্তমানে হাসপাতালের আইসিউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সাবেক বিচারপতির নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। হাসপাতাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বিকালে বিচারপতি মানিককে আদালতে নিয়ে আসা হয় পুলিশের পাহারায়। পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পরপরই কিল-ঘুষি মারার ঘটনা ঘটে। তাকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয় জুতা, ডিম ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে শামসুদ্দিন মানিককে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক আলমগীর হোসেন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাহারায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

আদালতে শুনানিকালে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না বলে পুলিশ জানায়।

সিলেট কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জমশেদ আলম বলেন, বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় কানাইঘাট থানা পুলিশ। ঢাকার বাড্ডা, আদাবর থানাসহ একাধিক থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা থাকায় তাকে থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। পরে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আমরা সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে আসামি সিলেটে আছেন বলে বার্তা পাঠাবো। পরে সংশ্লিষ্ট থানা তাদের মামলায় গ্রেফতার দেখাবে। সাবেক বিচারপতি হিসেবে জেল কোড অনুযায়ী আসামিকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি আদালতকে জানিয়েছেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলকোড অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট (দনা) সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি। সেই রাতে তিনি অভিযোগ করেন, তার কাছে থাকা সবকিছু কেড়ে নিয়ে সীমান্তে একদল লোক তাকে মারধর করেছে।

শনিবার সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং সিআরপিসির ৫৪ ধারায় বিকেলে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।