ঢাবির ১ হলের ক্যান্টিনেই ছাত্রলীগ নেতাদের বাকি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা

  • Update Time : ১০:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / 29

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির পরিমাণ ১৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বলে অভিযোগ করেছেন হলের ক্যান্টিন মালিক বাবুল মিয়া।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে এই অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি বাকির একটি লিস্ট প্রভোস্ট অফিসে জমা দেন।

এর মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন দুজনে মিলেই পৌনে ছয় লাখ টাকার মতো বাকি খেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয় ।

লিস্ট অনুযায়ী হলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও আরও ৪৬ জন বাকি খেয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

বাকির হিসাবে দেখা যায়, এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বাকি খেয়েছেন তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা, সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন খেয়েছেন দুই লাখ ১৬ হাজার টাকা।

এ ছাড়া ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী আলী আহসান রিফাত এক লাখ ১৮ হাজার টাকা, ছাত্রলীগ নেতা রবি এক লাখ ১৮ হাজার, নাহিদ ও জুয়েল এক লাখ ১৫ হাজার করে, উচ্ছল ৮৫ হাজার, হারুন ৭০ হাজার টাকা বাকি খেয়েছেন।

ক্যান্টিন মালিক বাবুল মিয়া বলেন, ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ক্যান্টিন থেকে ১৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকার বেশি বাকি খেয়েছে। আমাকে একদম পথে বসিয়ে দিয়েছেন তারা। আমরা গরিব মানুষ, এক লাখ টাকাও তো অনেক বেশি। যেভাবে হোক আমার এ টাকা ফেরত চাই।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের খাবার তাদের রুমে দিয়ে আসা লাগত। তারা খাতায় বাকি লিখতে দিতে চাইত না। তাদের কারণেই আমরা চাইলেও খাবারের মান ভালো করতে পারিনি।

স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিক শাহরিয়ার বলেন, হলে প্রভোস্ট হিসেবে অল্প কিছুদিন হলো আমি দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি ক্যান্টিন মালিককে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, ক্যান্টিনের খাবারের মান খারাপ হওয়ার কারণ কী? আর এর পেছনে কারো কোনো বাকি খাওয়ার বিষয় জড়িত কিনা। তখন তিনি বলেছিলেন যে, কেউ নাকি বাকি খায় না। কিন্তু তার কিছুদিন পরই হঠাৎ ১৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বাকির বিষয়টি জানাচ্ছেন।

তবে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হল প্রশাসনের যতটুকু কাজ করা প্রয়োজন সেটা করা হবে বলেও জানান এই প্রভোস্ট ।

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবির ১ হলের ক্যান্টিনেই ছাত্রলীগ নেতাদের বাকি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা

Update Time : ১০:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির পরিমাণ ১৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বলে অভিযোগ করেছেন হলের ক্যান্টিন মালিক বাবুল মিয়া।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে এই অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি বাকির একটি লিস্ট প্রভোস্ট অফিসে জমা দেন।

এর মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন দুজনে মিলেই পৌনে ছয় লাখ টাকার মতো বাকি খেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয় ।

লিস্ট অনুযায়ী হলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও আরও ৪৬ জন বাকি খেয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

বাকির হিসাবে দেখা যায়, এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বাকি খেয়েছেন তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা, সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন খেয়েছেন দুই লাখ ১৬ হাজার টাকা।

এ ছাড়া ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী আলী আহসান রিফাত এক লাখ ১৮ হাজার টাকা, ছাত্রলীগ নেতা রবি এক লাখ ১৮ হাজার, নাহিদ ও জুয়েল এক লাখ ১৫ হাজার করে, উচ্ছল ৮৫ হাজার, হারুন ৭০ হাজার টাকা বাকি খেয়েছেন।

ক্যান্টিন মালিক বাবুল মিয়া বলেন, ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ক্যান্টিন থেকে ১৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকার বেশি বাকি খেয়েছে। আমাকে একদম পথে বসিয়ে দিয়েছেন তারা। আমরা গরিব মানুষ, এক লাখ টাকাও তো অনেক বেশি। যেভাবে হোক আমার এ টাকা ফেরত চাই।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের খাবার তাদের রুমে দিয়ে আসা লাগত। তারা খাতায় বাকি লিখতে দিতে চাইত না। তাদের কারণেই আমরা চাইলেও খাবারের মান ভালো করতে পারিনি।

স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিক শাহরিয়ার বলেন, হলে প্রভোস্ট হিসেবে অল্প কিছুদিন হলো আমি দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি ক্যান্টিন মালিককে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, ক্যান্টিনের খাবারের মান খারাপ হওয়ার কারণ কী? আর এর পেছনে কারো কোনো বাকি খাওয়ার বিষয় জড়িত কিনা। তখন তিনি বলেছিলেন যে, কেউ নাকি বাকি খায় না। কিন্তু তার কিছুদিন পরই হঠাৎ ১৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বাকির বিষয়টি জানাচ্ছেন।

তবে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হল প্রশাসনের যতটুকু কাজ করা প্রয়োজন সেটা করা হবে বলেও জানান এই প্রভোস্ট ।