মন্ত্রিসভায় থাকবে চমক: আলোচনায় বাহাউদ্দিন নাছিম
- Update Time : ১০:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
- / 162
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পথে আওয়ামী লীগ।
বুধবার সকালে সংসদ সদস্যদের শপথ ও সংসদ নেতা নির্বাচন হবে। পরদিন বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার শপথ সন্ধ্যা ৭টায়। এরপর মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন সরকারের যাত্রা। মনোনয়নের মতো এবার মন্ত্রিসভায়ও থাকবে চমক। আসতে পারে বেশকিছু নতুন মুখ।
এরই মধ্যে মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সচিব মাহবুব হোসেন এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
নতুন মন্ত্রিসভায় দপ্তর পরিবর্তন হতে পারে অনেকের। অনেকে বাদ পড়তে পারেন। এরই মধ্যে ছয়জনের বাদ পড়ার বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রমোশন হতে পারে বেশ কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর।
মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন? এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ আওয়ামী লীগ নেতারা। একাধিক নেতা বলেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ বিষয়ে কোনো কমেন্ট করতে চাই না।’ আবার কেউ কেউ বাদ পড়া, যুক্ত হওয়া নিয়ে কথা বললেও নাম প্রকাশ করতে চান না।
কারা হতে পারেন মন্ত্রিসভার নতুন মুখ
বিভিন্ন সূত্র বলছে, এবারের সংসদ নির্বাচনে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে বাছাই করে মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বিভিন্ন সেক্টরে তাদের বেশ কাজ রয়েছে। তাদের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসাদের সুনির্দিষ্ট সেক্টরে কাজে লাগাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
“এর মধ্যে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ,ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচিত কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।”
আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট) থেকে কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ছিলেন এই ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের সভাপতি। ১৯৮১ সালে মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন তিনি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্যও ছিলেন নাছিম।
এছাড়া সাবেক আমলা ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাছিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিমানের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ক্রিকেটরত্ন মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ অনেকেই আলোচনায় আছেন।
এছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাও আসতে পারেন এবারের মন্ত্রিসভায়।
পুরোনোদের মধ্যে অনেকে থাকছেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকের দপ্তর পরিবর্তন হতে পারে।
তবে অনিশ্চিত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের ভাগ্য।
বাদ পড়তে পারেন ডজনখানেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
তবে আরও কয়েকজন বাদ পড়তে পারেন এই মন্ত্রিসভা থেকে। এর মধ্যে বয়স ও শারীরিক অবস্থার বিবেচনায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এনেছিল ৯২ নতুন মুখ। বাদ দিয়েছিল ৬৯ এমপিকে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন মন্ত্রিসভায়ও দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্বের বিবেচনায় তরুণ এবং কাজের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে এবার।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘একটা ভালো মন্ত্রিসভা উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তরুণ-প্রবীণের সমন্বয় হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কারিগর থাকবে এই মন্ত্রিসভায়। সাইজেও হবে মাঝারি।’