জ্বালাও পোড়াও করে জনসমর্থন আদায় করা যায় না

  • Update Time : ০৬:৪১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / 372

মহসিন হোসেন:

শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ কর্মসূচি পালনের নামে সারা দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে বিএনপি। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচী জনসম্পৃক্ত করে তুলতে না পারা এবং আন্দোলনের জন্য নতুন ইস্যু সৃষ্টির ব্যর্থতায় সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে দলটি। বিএনপির সমাবেশ মানেই জ্বালাও-পোড়াও, তাদের আন্দোলন মানেই আগুন সন্ত্রাস এবং তাদের ঘোষিত হরতাল মানেই এদেশের মানুষের ভোগান্তি। জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ যাদের ইতিহাস তারা কোনদিন সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি করতে পারেনা সেটাই আবার আজকে প্রমাণ করল বিএনপি।

সম্প্রতি ২৮ শে অক্টোবর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। এই ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক পুলিশকর্মী। এই সংঘর্ষে পুলিশের আরও ৪১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক আহত বা হামলার শিকার হয়েছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং উদ্বেগের।

এদিকে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায়। সংঘর্ষ চলাকালে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে বিকেল ৩ টার দিকে আগুন দিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেটে এবং বাসভবনে বিএনপির কর্মীরা ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আইডিইবি ভবনে আগুন দেন।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ঘোলাটে করে পিছনের দরজা দিয়ে সরকারের ক্ষমতায় আসীন হতে বিএনপি বরাবরের মতো এই তান্ডব লীলা শুরু করে দিয়েছে। বিএনপির এই আগুন সন্ত্রাস নতুন কিছু না বরং তাদের অতীত ইতিহাসের ধারাবাহিকতা।

বিএনপির মনে রাখা উচিত যে জ্বালাও পোড়াও করে দেশ ও জনগণের ক্ষতি করে কখনো জনসমর্থন আদায় করা যায় না। আর বাংলাদেশের মতো এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনসমর্থনবিহীন কোনো দলের পক্ষে কখনো সরকার পরিচালনায় আসা সম্ভব হবে না।

এমতাবস্থায় বিএনপি-জামায়াতের উচিত দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতির কথা চিন্তা করে জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন বন্ধ করে জনসমর্থন আাদায়ে জনগণের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করা। তারপরও যদি তারা বুঝতে না পারে এই মূহুর্তে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম কেমন হওয়া উচিত তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শনকে অনুসরণ করা। তাতে যদি বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারে। অন্যথায় বিএনপির এমন জ্বালাও-পোড়াও নীতির ফলে অচিরেই বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস থেকে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে।

লেখক: সম্পাদক, বিডি সমাচার ২৪ ডটকম।

Please Share This Post in Your Social Media


জ্বালাও পোড়াও করে জনসমর্থন আদায় করা যায় না

Update Time : ০৬:৪১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

মহসিন হোসেন:

শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ কর্মসূচি পালনের নামে সারা দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে বিএনপি। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচী জনসম্পৃক্ত করে তুলতে না পারা এবং আন্দোলনের জন্য নতুন ইস্যু সৃষ্টির ব্যর্থতায় সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে দলটি। বিএনপির সমাবেশ মানেই জ্বালাও-পোড়াও, তাদের আন্দোলন মানেই আগুন সন্ত্রাস এবং তাদের ঘোষিত হরতাল মানেই এদেশের মানুষের ভোগান্তি। জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ যাদের ইতিহাস তারা কোনদিন সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি করতে পারেনা সেটাই আবার আজকে প্রমাণ করল বিএনপি।

সম্প্রতি ২৮ শে অক্টোবর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। এই ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক পুলিশকর্মী। এই সংঘর্ষে পুলিশের আরও ৪১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক আহত বা হামলার শিকার হয়েছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং উদ্বেগের।

এদিকে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায়। সংঘর্ষ চলাকালে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে বিকেল ৩ টার দিকে আগুন দিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেটে এবং বাসভবনে বিএনপির কর্মীরা ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আইডিইবি ভবনে আগুন দেন।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ঘোলাটে করে পিছনের দরজা দিয়ে সরকারের ক্ষমতায় আসীন হতে বিএনপি বরাবরের মতো এই তান্ডব লীলা শুরু করে দিয়েছে। বিএনপির এই আগুন সন্ত্রাস নতুন কিছু না বরং তাদের অতীত ইতিহাসের ধারাবাহিকতা।

বিএনপির মনে রাখা উচিত যে জ্বালাও পোড়াও করে দেশ ও জনগণের ক্ষতি করে কখনো জনসমর্থন আদায় করা যায় না। আর বাংলাদেশের মতো এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনসমর্থনবিহীন কোনো দলের পক্ষে কখনো সরকার পরিচালনায় আসা সম্ভব হবে না।

এমতাবস্থায় বিএনপি-জামায়াতের উচিত দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতির কথা চিন্তা করে জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন বন্ধ করে জনসমর্থন আাদায়ে জনগণের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করা। তারপরও যদি তারা বুঝতে না পারে এই মূহুর্তে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম কেমন হওয়া উচিত তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শনকে অনুসরণ করা। তাতে যদি বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারে। অন্যথায় বিএনপির এমন জ্বালাও-পোড়াও নীতির ফলে অচিরেই বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস থেকে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে।

লেখক: সম্পাদক, বিডি সমাচার ২৪ ডটকম।