কমলাপুরে আবাসিক হোটেল থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা হত্যা

  • Update Time : ০৯:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 53

রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন কমলাপুরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সুমি রানী রায় (৩৬) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) বেলা ১১টার দিকে সংবাদ পেয়ে কমলাপুর সি-ল্যান্ড আবাসিক হোটেলের ৬ তলার একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। পরে আজ রাত পৌনে ৮ টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত সুমি রানীর বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ কমলাপুরের সি-ল্যান্ড আবাসিক হোটেলের ছয়তলার একটি কক্ষের বিছানা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আজ সন্ধ্যার পর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

ওসি আরও জানান, মানিক চন্দ্র রায় নামে একজনকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ওই হোটেলে ওঠে সুমি রানী রায়। পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে মানিক চন্দ্র রায়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমির। এরপর একাধিকবার তারা ওই হোটেলের রেজিস্ট্রি খাতায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একসঙ্গে থাকত। সর্বশেষ গতকালও ওই হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে রাত্রি যাপন করেন তারা। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তি তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই নিহত ওই নারীর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media


কমলাপুরে আবাসিক হোটেল থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা হত্যা

Update Time : ০৯:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন কমলাপুরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সুমি রানী রায় (৩৬) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) বেলা ১১টার দিকে সংবাদ পেয়ে কমলাপুর সি-ল্যান্ড আবাসিক হোটেলের ৬ তলার একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। পরে আজ রাত পৌনে ৮ টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত সুমি রানীর বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ কমলাপুরের সি-ল্যান্ড আবাসিক হোটেলের ছয়তলার একটি কক্ষের বিছানা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আজ সন্ধ্যার পর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

ওসি আরও জানান, মানিক চন্দ্র রায় নামে একজনকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ওই হোটেলে ওঠে সুমি রানী রায়। পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে মানিক চন্দ্র রায়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমির। এরপর একাধিকবার তারা ওই হোটেলের রেজিস্ট্রি খাতায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একসঙ্গে থাকত। সর্বশেষ গতকালও ওই হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে রাত্রি যাপন করেন তারা। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তি তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই নিহত ওই নারীর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।