জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন: রিজওয়ানা

  • Update Time : ১১:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / 7

জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন-ক্ষণ ঘোষণা করবে সরকার। তবে সেটি সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক আছে উল্লেখ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংস্কার কমিশন থেকে প্রস্তাব আসবে, জনগণ কথা বলবে। চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবনা হবে। সেই মোতাবেক যে পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেবো। আমরা বারবার বলেছি যত দ্রুত সম্ভব জরুরি সংস্কারগুলো শেষে নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দেবো।

নির্বাচন বিষয়টি সরকারের নজরে আছে বলেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে সংস্কার, যে জন্য বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে, সে সংস্কারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হওয়ার পরেই নির্বাচন হবে। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনগুলো আসুক। আর নির্বাচন কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, তারা ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ যা যা কাজ আছে তা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এটা ঠিক হবে।’

উপদেষ্টা রিজওয়ানা জানান, ৬টি সংস্কার কমিশন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, কিছু কমিশন জানিয়েছে যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে এক বা দুই সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশের আদালতে নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। সবাইকে সংযত থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। হয়ত আপনার দাবি যৌক্তিক, কিন্তু আপনার দাবি আদায়ের পদ্ধতি যদি বেআইনি, ধ্বংসাত্মক হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে ন্যায্য দাবিও পূরণ করতে পারবেন না। আজকে প্রধান বিচারপতিও উদ্বেগ জানিয়েছেন। আমরা সবাইকে বলবো, এই জাতীয় ধ্বংসাত্মক ও অবমাননামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দায়ের করার প্ল্যাটফর্মে আছে। কিন্তু ধংসাত্মক প্রক্রিয়া বেচে নিলে কারও কোনো লাভ হবে না।’

Please Share This Post in Your Social Media


জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন: রিজওয়ানা

Update Time : ১১:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন-ক্ষণ ঘোষণা করবে সরকার। তবে সেটি সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক আছে উল্লেখ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংস্কার কমিশন থেকে প্রস্তাব আসবে, জনগণ কথা বলবে। চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবনা হবে। সেই মোতাবেক যে পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেবো। আমরা বারবার বলেছি যত দ্রুত সম্ভব জরুরি সংস্কারগুলো শেষে নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দেবো।

নির্বাচন বিষয়টি সরকারের নজরে আছে বলেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে সংস্কার, যে জন্য বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে, সে সংস্কারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হওয়ার পরেই নির্বাচন হবে। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনগুলো আসুক। আর নির্বাচন কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, তারা ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ যা যা কাজ আছে তা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এটা ঠিক হবে।’

উপদেষ্টা রিজওয়ানা জানান, ৬টি সংস্কার কমিশন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, কিছু কমিশন জানিয়েছে যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে এক বা দুই সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশের আদালতে নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। সবাইকে সংযত থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। হয়ত আপনার দাবি যৌক্তিক, কিন্তু আপনার দাবি আদায়ের পদ্ধতি যদি বেআইনি, ধ্বংসাত্মক হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে ন্যায্য দাবিও পূরণ করতে পারবেন না। আজকে প্রধান বিচারপতিও উদ্বেগ জানিয়েছেন। আমরা সবাইকে বলবো, এই জাতীয় ধ্বংসাত্মক ও অবমাননামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দায়ের করার প্ল্যাটফর্মে আছে। কিন্তু ধংসাত্মক প্রক্রিয়া বেচে নিলে কারও কোনো লাভ হবে না।’