শহীদ পরিবারের অন্তত একজন চাকরি পাবে: সারজিস আলম

  • Update Time : ০৬:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • / 26

গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের অন্তত একজনের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

তিনি বলেন, পুনর্বাসন, দীর্ঘমেয়াদি সম্মানীভাতাসহ সব পরিকল্পনা রয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের। এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম মাত্র শুরু হয়েছে। যার কার্যক্রম আমরা জীবন দিয়ে হলেও ধরে রাখবো। আমরা সবার কাছে যাব, কথা শুনবো।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ এই শিরোনামে সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস বলেছেন, যারা শহীদ হয়েছেন তারা শ্রেষ্ঠ সন্তান। শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। নভেম্বর মাসের মধ্যে শহীদদের লিস্ট চূড়ান্ত করার চেষ্টা করবে ফাউন্ডেশন।

তিনি বলেন, যেভাবে আমাদের শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল, আমরা সেভাবে দাঁড়াতে পরিনি। তবে আমাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। আমরা সবার কাছে যাব, কথা শুনবো। এটা শুরু। আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে এই ফাউন্ডেশনকে বাঁচিয়ে রাখব।

সারজিস আরও বলেন, যারা ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাদের লিস্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। তবে আমরা এই বেলায় তা চাই না। যথাযথ ভেরিফিকেশন করেই শহীদদের তালিকা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ২০০ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতেই এই আয়োজন করা হয়। প্রথম ধাপের এ আয়োজন শুরু হয় সকাল ৯টায়। তথ্য হালনাগাদ শেষে সাড়ে ১২টায় শুরু হয় মূল আয়োজন। শহীদদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। আয়োজনে অংশ নিয়ে পরিবারের সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

এখন থেকে প্রতি সপ্তাহেই এই আর্থিক সহায়তা কর্যক্রম চলবে। সাম্প্রতিক আন্দোলনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শহীদ পরিবারের অন্তত একজন চাকরি পাবে: সারজিস আলম

Update Time : ০৬:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের অন্তত একজনের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

তিনি বলেন, পুনর্বাসন, দীর্ঘমেয়াদি সম্মানীভাতাসহ সব পরিকল্পনা রয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের। এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম মাত্র শুরু হয়েছে। যার কার্যক্রম আমরা জীবন দিয়ে হলেও ধরে রাখবো। আমরা সবার কাছে যাব, কথা শুনবো।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ এই শিরোনামে সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস বলেছেন, যারা শহীদ হয়েছেন তারা শ্রেষ্ঠ সন্তান। শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। নভেম্বর মাসের মধ্যে শহীদদের লিস্ট চূড়ান্ত করার চেষ্টা করবে ফাউন্ডেশন।

তিনি বলেন, যেভাবে আমাদের শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল, আমরা সেভাবে দাঁড়াতে পরিনি। তবে আমাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। আমরা সবার কাছে যাব, কথা শুনবো। এটা শুরু। আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে এই ফাউন্ডেশনকে বাঁচিয়ে রাখব।

সারজিস আরও বলেন, যারা ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাদের লিস্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। তবে আমরা এই বেলায় তা চাই না। যথাযথ ভেরিফিকেশন করেই শহীদদের তালিকা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ২০০ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতেই এই আয়োজন করা হয়। প্রথম ধাপের এ আয়োজন শুরু হয় সকাল ৯টায়। তথ্য হালনাগাদ শেষে সাড়ে ১২টায় শুরু হয় মূল আয়োজন। শহীদদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। আয়োজনে অংশ নিয়ে পরিবারের সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

এখন থেকে প্রতি সপ্তাহেই এই আর্থিক সহায়তা কর্যক্রম চলবে। সাম্প্রতিক আন্দোলনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি।