প্রতিবাদের নামে সহিংস আচরণ রোধে সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

  • Update Time : ০৭:৫৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 10

কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা সহিংস আচরণ করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনিভাবে তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করার বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের দেশত্যাগের গুঞ্জন
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সতর্কীকরণ ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণ করে। গণঅভ্যুত্থান দমন করতে পতিত সরকার নিষ্ঠুর বল প্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিনের দুঃশাসনে বহু মানুষ অপহরণ, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এতে করে বিদায়ী সরকারের প্রতি জনমনে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজমান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব নিপীড়নের বিচার করতে বদ্ধপরিকর।

উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক সেই সময়ে কিছু অতিউৎসাহী এবং স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন। এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ ও আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

এ প্রসঙ্গে সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায় যে, মামলা হওয়া মানেই যত্রতত্র গ্রেফতার নয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া যাচ্ছে যে, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার সব দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দপ্তরে জানাতে হবে, কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা কোনো রকম সহিংস আচরণ করা যাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে আন্তরিকভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


প্রতিবাদের নামে সহিংস আচরণ রোধে সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

Update Time : ০৭:৫৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা সহিংস আচরণ করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনিভাবে তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করার বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের দেশত্যাগের গুঞ্জন
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সতর্কীকরণ ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণ করে। গণঅভ্যুত্থান দমন করতে পতিত সরকার নিষ্ঠুর বল প্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিনের দুঃশাসনে বহু মানুষ অপহরণ, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এতে করে বিদায়ী সরকারের প্রতি জনমনে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজমান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব নিপীড়নের বিচার করতে বদ্ধপরিকর।

উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক সেই সময়ে কিছু অতিউৎসাহী এবং স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন। এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ ও আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

এ প্রসঙ্গে সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায় যে, মামলা হওয়া মানেই যত্রতত্র গ্রেফতার নয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া যাচ্ছে যে, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার সব দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দপ্তরে জানাতে হবে, কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা কোনো রকম সহিংস আচরণ করা যাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে আন্তরিকভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।