সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে মামলা

  • Update Time : ০২:২৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • / 44

সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আজ সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে মামলা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মামলার সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান দল।

জানা যায়, গত ৩ জুলাই সাদিক অ্যাগ্রোর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার খামার থেকে ব্রাহামা জাতের ছয়টি জব্দ করা হয়। গরুর গায়ে থাকা কোড নম্বর দেখে দুদক নিশ্চিত হয়, এগুলো ২০২১ সালে বিমানবন্দরে জব্দ হওয়া ১৮টি গরুর ছয়টি। প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নথিপত্র জাল করে এসব গরু আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো। বৈধতা না থাকায় ২০২১ সালে গরুগুলো জব্দ করে বিমানবন্দর কাস্টমস। পরে সেই গরু জব্দ সাভারের সরকারি গো-প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নানামুখী কারসাজি করে নিজেদের খামারে নিয়ে যান সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে খামারে এই গরুর প্রজননও ঘটিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রো। যা ধরা পড়ে দুদকের গত ১ জুলাইয়ের অভিযানে। সেখানে সাতটি ব্রাহমা জাতের বাছুর উদ্ধার হয়। যা সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ প্রজননের প্রমাণ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে মামলা

Update Time : ০২:২৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আজ সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে মামলা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মামলার সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান দল।

জানা যায়, গত ৩ জুলাই সাদিক অ্যাগ্রোর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার খামার থেকে ব্রাহামা জাতের ছয়টি জব্দ করা হয়। গরুর গায়ে থাকা কোড নম্বর দেখে দুদক নিশ্চিত হয়, এগুলো ২০২১ সালে বিমানবন্দরে জব্দ হওয়া ১৮টি গরুর ছয়টি। প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নথিপত্র জাল করে এসব গরু আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো। বৈধতা না থাকায় ২০২১ সালে গরুগুলো জব্দ করে বিমানবন্দর কাস্টমস। পরে সেই গরু জব্দ সাভারের সরকারি গো-প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নানামুখী কারসাজি করে নিজেদের খামারে নিয়ে যান সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে খামারে এই গরুর প্রজননও ঘটিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রো। যা ধরা পড়ে দুদকের গত ১ জুলাইয়ের অভিযানে। সেখানে সাতটি ব্রাহমা জাতের বাছুর উদ্ধার হয়। যা সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ প্রজননের প্রমাণ।