মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- Update Time : ০২:১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
- / 44
আওয়ামী লীগের মতের সঙ্গে মিল না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ৪৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল মর্যাদা নিয়ে পথচলা শুরু হবে বাংলাদেশের। নতুন প্রজন্মকে এর জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। ৯টি ভাষা দিয়ে ফ্রি অ্যাপস চালু করে দিয়েছি, যেন ফ্রিল্যান্সাররা ভাষা শিখে কাজ করতে পারে। একটা গ্রামে বসে যেন তারা কাজ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা মেধাবী, তাদের দরকার শুধু সুযোগ। তাদের মেধা বিকাশের সেই সুযোগটাই করে দিতে চাই আমরা। আর সে কারণেই এই প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ডটা আমরা চালু করেছি।
ফেলোদের উদ্দেশ্যে এসময় তিনি বলেন, অর্জিত জ্ঞান দেশের কাজে লাগাবেন। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। জনগণ যেন সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করবেন। ফিরে এসে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেবেন।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি এই ফেলোশিপকে ট্রাস্ট হিসেবে গড়ে আইন করে দিয়ে যাবো, যেন ভবিষ্যতে এটা কেউ বন্ধ করতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও একটা কথা মনে রাখতে হবে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই যুগ যুগ ধরে তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে হবে। আমার দলের সঙ্গে কারও মতের মিল না-ই থাকতে পারে, সেটা আমার কাছে বিবেচ্য না। আমার কাছে বিবেচ্য, মুক্তিযোদ্ধারা তাদের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাই তাদের কোনোভাবেই অসম্মান করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী আছে; তারাও যেন সবদিক থেকে সুযোগ-সুবিধা পায়। তারাও যেন এগিয়ে যায়। শিক্ষায় তারা যেন পিছিয়ে না পড়ে। সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।