রেলওয়ের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

  • Update Time : ০৫:০৬:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
  • / 43

বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিয়োগে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসনের বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি করে।

গত ২৬ মে এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। রিটের শুনানিও করেন তিনি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি দাশ। রিটে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

তুষার কান্তি দাশ বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়োগে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজেদের স্বার্থে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে; যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।

তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ। কারণ এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্য রিট করেছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রেলওয়ের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

Update Time : ০৫:০৬:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিয়োগে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসনের বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি করে।

গত ২৬ মে এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। রিটের শুনানিও করেন তিনি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি দাশ। রিটে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

তুষার কান্তি দাশ বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়োগে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজেদের স্বার্থে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে; যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।

তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ। কারণ এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্য রিট করেছি।