ভোটার ছাড়া ভোট, চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো: ইসি রাশেদা
- Update Time : ০১:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
- / 42
প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিহীন ও ভোটার ছাড়া ভোট, চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো, বলেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এ সময় তিনি প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদা সুলতানা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সকল প্রার্থীকে সমান চোখে দেখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেন। সেই সাথে সংবাদ মাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান।
এদিকে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনকে উৎসব মনে করেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রে আপনারা দেখেছেন গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে এই তীব্র গরমের মধ্যেও কোন কোন কেন্দ্র ৭০ ভাগ, কোন কোন কেন্দ্রে ৮০ এবং ৬০ ভাগ ভোটার উপস্থিতি হয়েছে। কারণ নিশ্চই মানুষের মধ্যে একটা আস্থা এসেছে যে এখন ভোট দেয়া যায়, আমার ভোট আমি দিতে পারবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি ভালো পরিবেশ পায় তাহলে তারা ভোটকে উৎসব হিসেবে মনে করে। সেই উৎসবের অংশ হিসেবে আমরা মনে করি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে। হ্যাঁ তবে গরমের কারণে মানুষের একটু কষ্ট হবে। তারপরেও মানুষ ভোট দিতে আসবে।
আলমগীর বলেন, কোনো মন্ত্রী, এমপি বা সরকারের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত বড় কোনো কর্মকর্তার কোনো আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী হলে তারা তাদের পক্ষে প্রচার চালাতে পারেন বা পক্ষ অবলম্বন করতে পারেন। এ বিষয়ে তাদের কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে যে এটা তারা করতে পারবেন না। তারপরেও যদি তারা এ কাজ করেন তাহলে প্রার্থীর যেমন প্রার্থীতা বাতিল হবে। ঠিক একইভাবে ওই মাননীয় মন্ত্রী, এমপি বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদসহ (পিপিএম) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।