‘সম্প্রীতি বাংলাদেশে’র আলোচনা সভা: মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান

  • Update Time : ০২:৩৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • / 50

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও স্বাধীনতা অর্জনে মুজীবনগর সরকারের ভুমিকা নিয়ে আরো ব্যাপক গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক নেতারা। একই সঙ্গে সঠিক ইতিহাস জানতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

সোমবার সকাল ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার আর্টস অডিটেরিয়ামে সম্প্রীতি বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘মুজীবনগর সরকার গঠন না হলে হয়তো দেশ স্বাধীন হত না। সেই মুজীবনগর সরকার কোনো ধর্মের উপর নয়, বরং বাঙ্গালীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে। এখন ধর্মকে আমরা রাজনৈতিকভাবে ব্যাবহার  করছি।’

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বা মুজিবনগর নিয়ে এখনো সম্পুর্ন গবেষণা হয় নি। এ নিয়ে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। ইতিহাসে মার্চ ও ডিসেম্বর মাস প্রাধান্য পায়, পিছিয়ে থাকে এপ্রিল মাস। অথচ এপ্রিল না থাকলে হয়তো ডিসেম্বর আসতো না (মুজিবনগর সরকার গঠন না হলে হয়তো ডিসেম্বরের স্বাধীনতা আসতো না)। এটি শুধু স্বাধীনতার লড়াই ছিল না, এটি ছিল অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তা গঠনের লড়াই। স্বাধীনতার পরও অনেকেই লড়ছেন বাঙালির জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, ধর্ম নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে। তারা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, প্রধান আলোচক সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, ফার্মেসী অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ। সভার সভাপতিত্বে ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের ঢাবি শাখার আহবায়ক অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া।

এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আগত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে নিজেদের অনুভূতি ব্যাক্ত করেন আসাম রাজ্যের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. সৌমেন ভারতীয়া এবং প্রখ্যাত লেখিকা অধ্যাপক ড. রীতা চৌধুরী।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


‘সম্প্রীতি বাংলাদেশে’র আলোচনা সভা: মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান

Update Time : ০২:৩৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও স্বাধীনতা অর্জনে মুজীবনগর সরকারের ভুমিকা নিয়ে আরো ব্যাপক গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক নেতারা। একই সঙ্গে সঠিক ইতিহাস জানতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

সোমবার সকাল ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার আর্টস অডিটেরিয়ামে সম্প্রীতি বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘মুজীবনগর সরকার গঠন না হলে হয়তো দেশ স্বাধীন হত না। সেই মুজীবনগর সরকার কোনো ধর্মের উপর নয়, বরং বাঙ্গালীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে। এখন ধর্মকে আমরা রাজনৈতিকভাবে ব্যাবহার  করছি।’

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বা মুজিবনগর নিয়ে এখনো সম্পুর্ন গবেষণা হয় নি। এ নিয়ে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। ইতিহাসে মার্চ ও ডিসেম্বর মাস প্রাধান্য পায়, পিছিয়ে থাকে এপ্রিল মাস। অথচ এপ্রিল না থাকলে হয়তো ডিসেম্বর আসতো না (মুজিবনগর সরকার গঠন না হলে হয়তো ডিসেম্বরের স্বাধীনতা আসতো না)। এটি শুধু স্বাধীনতার লড়াই ছিল না, এটি ছিল অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তা গঠনের লড়াই। স্বাধীনতার পরও অনেকেই লড়ছেন বাঙালির জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, ধর্ম নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে। তারা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, প্রধান আলোচক সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, ফার্মেসী অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ। সভার সভাপতিত্বে ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের ঢাবি শাখার আহবায়ক অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া।

এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আগত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে নিজেদের অনুভূতি ব্যাক্ত করেন আসাম রাজ্যের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. সৌমেন ভারতীয়া এবং প্রখ্যাত লেখিকা অধ্যাপক ড. রীতা চৌধুরী।