বাংলাদেশের কাছে ৬০০ একর জমি চায় সৌদি

  • Update Time : ১১:১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 92

বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৬০০ একর জমি চেয়েছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মিশরের রাষ্ট্রদূত ও অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এক সময় সৌদি আরবের সঙ্গে শুধুমাত্র জনশক্তি রপ্তানি আর হজের সম্পর্ক ছিল। এখন এই সম্পর্ককে আমরা বিনিয়োগ সম্পর্কে রূপ দিতে চাই। সৌদি আরবের সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইকোনমিক জোনে সৌদি আরবকে ৩০০ একর জমির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তারা আরও ৩০০ একর জমি তারা চেয়েছে। পাশাপাশি চট্রগ্রাম বন্দরে পতেঙ্গা টার্মিনাল তারা অপারেট করতে যাচ্ছে। সেখানে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা বিনিয়োগ করবে। এটি ২০ বছরের জন্য তাদেরকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।

বৈঠকে তাদের মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী পরিবেশ পরিকল্পনা ‘সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভে’ বাংলাদেশি কৃষিবিদসহ অন্যদের ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।

চলতি বছর মিশরের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। শিগগিরই এটি উদযাপিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মিশর তাদের দেশে পাট চাষ করতে চায়, এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, আইসিটি, চামড়া খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার অস্ট্রেলিয়াকে ইকোনমিক জোনগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও আলাপ হয়েছে।

এছাড়া সব রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই বিস্তারিতভাবে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে এবং মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে, নাগরিক অধিকার প্রদান সাপেক্ষে তাদের দেশে পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি ও তাদের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের আসন্ন সফরের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং তাদের কর্মকর্তাদের সফর আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর ও বিস্তৃত করবে।

এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইওসেফ আল দুহাইলান, মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন ফাহমী এবং অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

Please Share This Post in Your Social Media


বাংলাদেশের কাছে ৬০০ একর জমি চায় সৌদি

Update Time : ১১:১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৬০০ একর জমি চেয়েছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মিশরের রাষ্ট্রদূত ও অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এক সময় সৌদি আরবের সঙ্গে শুধুমাত্র জনশক্তি রপ্তানি আর হজের সম্পর্ক ছিল। এখন এই সম্পর্ককে আমরা বিনিয়োগ সম্পর্কে রূপ দিতে চাই। সৌদি আরবের সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইকোনমিক জোনে সৌদি আরবকে ৩০০ একর জমির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তারা আরও ৩০০ একর জমি তারা চেয়েছে। পাশাপাশি চট্রগ্রাম বন্দরে পতেঙ্গা টার্মিনাল তারা অপারেট করতে যাচ্ছে। সেখানে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা বিনিয়োগ করবে। এটি ২০ বছরের জন্য তাদেরকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।

বৈঠকে তাদের মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী পরিবেশ পরিকল্পনা ‘সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভে’ বাংলাদেশি কৃষিবিদসহ অন্যদের ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।

চলতি বছর মিশরের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। শিগগিরই এটি উদযাপিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মিশর তাদের দেশে পাট চাষ করতে চায়, এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, আইসিটি, চামড়া খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার অস্ট্রেলিয়াকে ইকোনমিক জোনগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও আলাপ হয়েছে।

এছাড়া সব রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই বিস্তারিতভাবে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে এবং মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে, নাগরিক অধিকার প্রদান সাপেক্ষে তাদের দেশে পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি ও তাদের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের আসন্ন সফরের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং তাদের কর্মকর্তাদের সফর আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর ও বিস্তৃত করবে।

এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইওসেফ আল দুহাইলান, মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন ফাহমী এবং অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।