সারাদেশে ৮০২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ ইসির

  • Update Time : ০৮:২১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / 111

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সারাদেশে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা- ২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে সব নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

প্রতি উপজেলায় একজন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। এ নিয়ে সব উপজেলা মিলিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে মোট ৫২৫ জন। জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে দুইজনসহ সারা দেশে ২১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় বিশেষ করে ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৫, চট্টগ্রামে ১০, খুলনায় ৬, গাজীপুরে ৪ ও অন্য সিটি করপোরেশনে ৩ জন করে মোট ৬৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন।

চিঠিতে ইসি জানায়, তবে স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। তাছাড়া সব জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন এক থেকে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যেন জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা এ ধরনের বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। এ কারণে ওইসময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা কমানো প্রয়োজন হবে। মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্টেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সারাদেশে ৮০২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ ইসির

Update Time : ০৮:২১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সারাদেশে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা- ২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে সব নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

প্রতি উপজেলায় একজন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। এ নিয়ে সব উপজেলা মিলিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে মোট ৫২৫ জন। জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে দুইজনসহ সারা দেশে ২১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় বিশেষ করে ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৫, চট্টগ্রামে ১০, খুলনায় ৬, গাজীপুরে ৪ ও অন্য সিটি করপোরেশনে ৩ জন করে মোট ৬৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন।

চিঠিতে ইসি জানায়, তবে স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। তাছাড়া সব জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন এক থেকে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যেন জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা এ ধরনের বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। এ কারণে ওইসময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা কমানো প্রয়োজন হবে। মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্টেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।