বাজার সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

  • Update Time : ০৯:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / 167

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে যে বাজার সিন্ডিকেট সক্রিয় তা দমনে সরকার কঠোর রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনা অস্থিতিশীল করতে ব্যবসায়ীরা সি-িকেটর আশ্রয় নিচ্ছে। ঘুসখোর, পাচারকারী, মুনাফাখোর এরা হলো দূর্বত্ত্ব। এগুলো এক ধরনের দস্যুতা, এরা দেশের শত্রু। দেশ গোল্লায় গেলেও এরা কিছু ভাবেন না। এরা দেশ প্রেমিক নয়। যারা ব্যবসায় এমন কর্মকান্ড করে মানুষকে কষ্ট দেয়, আমরা কখনো তাদের সমর্থন করি না। তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা কখনো চিন্তাও করি না। এ ধরণের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে এবং তাদেরকে দমন করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিএজেএফ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘রিপোর্টিং অন এগ্রিকালচার ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের কৃষি সংকটে এক সময় বাংলাদেশের কৃষকরা ন্যায্য দামে সারের জন্য বিএনপি জামাতের সময়ে জীবন দিয়েছে। অধিকার অর্জনে তারা জীবন দিয়েছে। একবার নয়, একাধিকবার। এই কৃষির জন্য শেখ হাসিনা ভর্তুকির জায়গাটা ধরে রেখেছেন। কৃষি নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের অর্জন টেকসই হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের কৃষকদেদর জন্য অন্তপ্রাণ। আমাদের দেশের মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করি। বাংলাদেশ ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়ছে, এমন আতঙ্ক মানুষের মাঝে ছড়ানো হয়েছিল। তাতে লাভ হয়নি। বাংলাদেশ খাদ্য সংকটে পড়বে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।সর্বক্ষেত্রে আমাদের দেশ এগিয়ে গিয়েছে। এ সব কিছু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তার দক্ষ নেতৃত্বে বর্তমানে আমরা ধান উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছি। এছাড়া শাকসবজি উৎপাদনেও বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্বে তৃতীয়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে ব্যাপক চা উৎপাদন হয়। যার কারণে বাংলাদেশ চা উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। আমাদের প্রাণী সম্পদ ক্ষাতও যথেষ্ট ভালো অবস্থানে রয়েছে। মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে আমরা বিশ্বে তৃতীয় এবং ইলিশ মাছ উৎপাদনে আমরা প্রথম স্থানে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী হলেন কৃষি বান্ধব। তিনি কৃষকেদের উন্নয়নে ব্যাপক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।

কৃষি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে। সে গুলো কৃষি সাংবাদিকদের তুলে ধরতে হবে। সেগুলো আপনারা সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও সরকারের কাছে তুলে ধরবেন। কৃষি হলো আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। কৃষিকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন অগ্রগতির কথা চিন্তা করা যায় না। আমাদের কার্যক্রম শুধু লেখনী দিয়ে নয় গবেষণায়ও থাকতে হবে। সংবাদের ভিতরেও সাংবাদিকতা থাকতে হবে। আপনারাই পারেন আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে সরকারকে সচেতন করতে। এতে দেশ সমৃদ্ধির দিকে যাওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ভিসা নীতি যার যার দেশের নিজস্ব বিষয়। বাংলাদেশও বিশ্বের যে কোনো সমৃদ্ধ দেশের সব নাগরিকদের ভিসা দেয় না। সবকিছুর একটা নিয়ম আছে।

বিএজেএফ’র সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সঞ্চালনা করেন বিএজেএফ সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। দেশের কৃষি সাংবাদিকতায় নিয়োজিত ৬০ জন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media


বাজার সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

Update Time : ০৯:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে যে বাজার সিন্ডিকেট সক্রিয় তা দমনে সরকার কঠোর রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনা অস্থিতিশীল করতে ব্যবসায়ীরা সি-িকেটর আশ্রয় নিচ্ছে। ঘুসখোর, পাচারকারী, মুনাফাখোর এরা হলো দূর্বত্ত্ব। এগুলো এক ধরনের দস্যুতা, এরা দেশের শত্রু। দেশ গোল্লায় গেলেও এরা কিছু ভাবেন না। এরা দেশ প্রেমিক নয়। যারা ব্যবসায় এমন কর্মকান্ড করে মানুষকে কষ্ট দেয়, আমরা কখনো তাদের সমর্থন করি না। তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা কখনো চিন্তাও করি না। এ ধরণের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে এবং তাদেরকে দমন করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিএজেএফ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘রিপোর্টিং অন এগ্রিকালচার ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের কৃষি সংকটে এক সময় বাংলাদেশের কৃষকরা ন্যায্য দামে সারের জন্য বিএনপি জামাতের সময়ে জীবন দিয়েছে। অধিকার অর্জনে তারা জীবন দিয়েছে। একবার নয়, একাধিকবার। এই কৃষির জন্য শেখ হাসিনা ভর্তুকির জায়গাটা ধরে রেখেছেন। কৃষি নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের অর্জন টেকসই হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের কৃষকদেদর জন্য অন্তপ্রাণ। আমাদের দেশের মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করি। বাংলাদেশ ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়ছে, এমন আতঙ্ক মানুষের মাঝে ছড়ানো হয়েছিল। তাতে লাভ হয়নি। বাংলাদেশ খাদ্য সংকটে পড়বে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।সর্বক্ষেত্রে আমাদের দেশ এগিয়ে গিয়েছে। এ সব কিছু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তার দক্ষ নেতৃত্বে বর্তমানে আমরা ধান উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছি। এছাড়া শাকসবজি উৎপাদনেও বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্বে তৃতীয়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে ব্যাপক চা উৎপাদন হয়। যার কারণে বাংলাদেশ চা উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। আমাদের প্রাণী সম্পদ ক্ষাতও যথেষ্ট ভালো অবস্থানে রয়েছে। মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে আমরা বিশ্বে তৃতীয় এবং ইলিশ মাছ উৎপাদনে আমরা প্রথম স্থানে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী হলেন কৃষি বান্ধব। তিনি কৃষকেদের উন্নয়নে ব্যাপক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।

কৃষি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে। সে গুলো কৃষি সাংবাদিকদের তুলে ধরতে হবে। সেগুলো আপনারা সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও সরকারের কাছে তুলে ধরবেন। কৃষি হলো আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। কৃষিকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন অগ্রগতির কথা চিন্তা করা যায় না। আমাদের কার্যক্রম শুধু লেখনী দিয়ে নয় গবেষণায়ও থাকতে হবে। সংবাদের ভিতরেও সাংবাদিকতা থাকতে হবে। আপনারাই পারেন আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে সরকারকে সচেতন করতে। এতে দেশ সমৃদ্ধির দিকে যাওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ভিসা নীতি যার যার দেশের নিজস্ব বিষয়। বাংলাদেশও বিশ্বের যে কোনো সমৃদ্ধ দেশের সব নাগরিকদের ভিসা দেয় না। সবকিছুর একটা নিয়ম আছে।

বিএজেএফ’র সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সঞ্চালনা করেন বিএজেএফ সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। দেশের কৃষি সাংবাদিকতায় নিয়োজিত ৬০ জন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।